বগুড়ায় করোনার স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করে মানুষ-যানবাহনের কোলাহল
গত তিনদিন সামাজিক দুরত্ব মেনে চললেও বর্তমানে বগুড়া জেলা শহরের অধিকাংশ স্থানেই সামাজিক দুরত্ব ও করোনা শিষ্টাচার ভঙ্গ করে রাস্তায় নেমে আসে শত শত মানুষ। ব্যাংক গুলোতেও ছিল উপচে পড়া ভীড়। রাস্তায় রাস্তায় যানবাহনের যানজট।
কয়োকদিনের জন শুন্য শহর পুর্বের যানজটের অবস্থায় ফিরে আসে। আইন শৃংখলা বাহিনীর কোন অনুরোধ কেউ মানছে না। করোনা ভাইরাস হুমকির মুখে জেলার মানুষ।
গেল বৃহ্স্পতিবার ২৬ মার্চ থেকে থেকে ২৯ মার্চ রোববার পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। তখন শহরে রাস্তায় মানুষ যানবহানের চলাচলে ছিল নিয়ন্ত্রণ লোক শহর হঠাৎ করে জন সমগম বেড়ে যাওয়াতে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) এর হুমকি বেড়ে যায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুটা নমনীয় হওযায় বেপরোয়া হয়ে রিকশা, থ্রি-হুইলার ও মোটর কার। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশ তদের সামাজিক দুরুত্ব মেনে চলার অনুরোধ করলেও জনগনকে বোঝানো সম্ভব হচ্ছে না।
সোমবার শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলো মানুষ আর রিকশার দখলে। দুইদিন পর ব্যাংক খোলার সাথে সাথে ব্যাংকেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। মানুষ লেনদেনের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। গ্রাহকরা সামাজিক দুরুত্ব না মেনে ব্যাংকে লেনদেন করতে দেখা গেছে। একে অপরের গায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।
অনেকে বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সিথিলতার কারণে কেউ করোনা শিষ্টচার মেনে চলেনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ব্যবস্থায় সামাজিক মাধ্যমে ছাবি ভাইরাল হলে তারা সিথিল হয়ে পড়ে। কেই ঘরে থাকার সরকারি কোন অনুরোধ মেনে চলছে না। এই অবহেলার কারনে বাংলাদেশকে কোন বড় খেশারত দিতে হবে বলে মনে করেন সামজের বাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নেতাকর্মীরা। এখনই এর রাশ টেনে ধারা উচিত বলে মনে করেন বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল আলম নয়ন। কাঁচা বাজারে ছিল মানুষে ঠাসা।
বগুড়া জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, কেউ যদি সামাজিক দুরত্ব মানে অথবা করোনা ভাইরাস শিষ্টাচার না মানে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।