বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা ১৩ বছরের শিশু মারা গেছে
বগুড়া মোহাম্মাদ আলী হাসপাতালে গড়ে ওঠা আইসোলেশন ইউনিটে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ১৩ বছরের বাচ্চাটি সন্ধা সাড়ে ৬টায় মারা গেছে। তবে সে করোনায় আক্রান্ত ছিলো কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার নমুনা আগামীকাল রাজশাহী পাঠানো হবে বলে জানান মোহাম্মাদ আলী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।
এরআগে বুধবার (১ এপ্রিল) বেলা সোয়া ৩টার দিকে শিশুটিকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শিশুটি জর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছে।
ডা. শফিক আমিন কাজল আরো জানান জানান, বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান এলাকার ওই শিশুটির ৭দিন আগে পায়ে ব্যাথা অনুভূত হয়। সে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিল। তবে ৩দিন আগে তার পা ফুলতে শুরু করে এবং গায়ে জ্বর আসে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, যেহেতু করোনার উপসর্গ থাকার কারণে শিশুটিকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছিলো, তাই তার দাফনের প্রক্রিয়াও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী করা হবে। পাশাপাশি ওই শিশুটির বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন ঘোষণার প্রক্রিয়াও চলছে।
অন্যদিকে করোনা সন্দেহে এবার ২৫ বছর বয়সী এক নারীকেও আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, শহরের নাটাইপাড়া এলাকার ওই নারী তিনদিন আগ জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর তার কাশি, পাতলা পায়খানা এং শ্বাস কষ্ট দেখা দেয়। পরবর্তীতে ওই নারী মঙ্গলবার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের টিচিং হাসপাতাল রফাতুল্লাহ্ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন।
সেখান থেকে তাকে বুধবার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তিনি জানান, আইসোলেশনে নেওয়া ঐ নারী বিদেশে ছিলেন না কিংবা কোন বিদেশফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শেও যাননি।
ডা. শফিক আমিন কাজল আরো জানান, নতুন এই রোগীসহ আগে ভর্তি হওয়া ৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য আজই (বুধবার) সংগ্রহ করে নিজস্ব পরিবহনযোগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে। আরো জানান, আগে ভর্তি হওয়া ৩ রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।