বগুড়ায় আইসোলেশনে থাকা ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের মুক্তি
এবছরের ২৬ শে মার্চ বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ঘোষনা করার পর থেকে বর্তমানে করোনা ভাইরাস উপসর্গ নিয়ে আসা ১১ জনের মধ্যে নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসায় অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত না হওয়ায় সোমবার পর্যন্ত ৫ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।
তারা সবাই বাড়ি চলে গেছেন। আর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী এক কিশোরেরও করোনা নেগেটিভ এসেছিল। বাকি ৫ জনের মধ্যে রংপুরের এক বাসিন্দার দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। আর অন্য ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখন পর্যন্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ৪ ও ৫ এপ্রিল পাঠানো ওই ৪জনের নমুনা রিপোর্ট ৭ এপ্রিলের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
বগুড়ায় করোনাভাইরাসে উপসর্গযুক্ত রোগী এবং তাতে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালকে গত ২৬ মার্চ থেকে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হয়। গত ২৯ মার্চ থেকে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু হয়। ৫ এপ্রিল রাত পর্যন্ত সেখানে এক শিশুসহ মোট ১১জন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাবতলী এলাকার সেই শিশুর মৃত্যু হয়। পরে মৃত ওই শিশুসহ সেখানে চিকিৎসাধীন সবার নমুনা পর্যায়ক্রমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে সর্বশেষ গত ৪ ও ৫ এপ্রিল পাঠানো ৪জনের নমুনা ছাড়া সবার রিপোর্টই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে এসে পৌঁছায়।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. শফিক আমিন কাজল জানিয়েছেন, পরীক্ষায় যাদের করোনা নেগেটিভ এসেছে তাদের মধ্য থেকে ৫ এপ্রিল ৩জন এবং পরদিন ৬ এপ্রিল আরও দু’জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে আইসোলেশনে যে ৪জন আছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। আশাকরি কালকের (৭ এপ্রিল) মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যাবে