বগুড়ার ধুনটে সূর্যমুখীর বাম্পার ও ব্যাবসা সফল ফলনে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষের।
চৈত্র মাসে পুরো মাঠ জুড়ে দেখা যায় সবুজের অভয়ারণ্যে যেন প্রকৃতিকে এক গ্রাম বাংলার এক চিরচেনা রুপ দেখা যাচ্ছে। সবুজের মাঝে হলুদ রঙ্গের দোলা যেন উঁকি দিচ্ছে সোনার চমক। এই রুপে মুগ্ধ হয়ে অনেক কবি অনেক কবিতা লিখেছেন তাদের ডাইরির পাতায়। লেখা আছে বইয়ের পৃষ্ঠায়।
তাইতো কবি জীবনানন্দ দাশ “এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে” কবিতায় সাত নাম্বার লাইনে লিখেছেন, “সেইখানে শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল, সেইখানে লক্ষীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, তরুন;”
আর সেই সবুজের মধ্যে যদি কিছু হলুদ ফুল ফোটে তাহলে সেই সবুজ যেনো এক প্রকৃতির রুপকে এক অসম্ভবীয় সুন্দর দেখা যায়। আর এই রুপকে নিয়েও অনেক কবি লিখেছে অনেক কবিতা। এমনি এক চিত্র দেখা যাচ্ছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার পাঁচথুপি গ্রামের পশ্চিম পাড়ায়।
উপজেলার পাঁচথুপি গ্রামের বাবু মেম্বার তার জমিতে সূর্যমুখী ফুল চাষ করছেন । তিনি গত কয়েক বছর ধরে এই ফুল চাষ করছে। তার ধারাবাহিকতায় এ বছর ও তিনি সূর্যমুখী ফুল চাষ করছেন।
কৃষকরা জানান, সূর্যমুখী প্রথম পর্যায়ে বীজ থেকে চারা গাছ হলে তা জমি থেকে তুলে ঝুরা মাটিতে ১০ ইঞ্চি পর পর একটি করে গাছের চারা লাগানো। চারা লাগানোর ১১০ দিনের মধ্যে ফুল পরিপক্ক হয়। পক্ক হওয়ার পর ফুল থেকে বীজ পাওয়া যায় আর এর বীজ থেকে তৈরি হয় সূর্য মুখি সওয়াবিন তেল। এর ফল বিঘা প্রতি ১৫ মন (বীজ) হয়ে থাকে যার বাজর মূল ২০০০ টাকা।
বাবু মেম্বার বলেন, আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় উপজেলা থেকে আমাকে সূর্য মুখি ফুল বীজ দেওয়া হয়েছে। আমি ১২ কাটা জমিতে এই চারা লাগিয়েছি। সঠিক মত পরিচর্যা করছি। আশাকরি ভালো ফল পাবো।
ধুনট উপজেলা কৃষি অফিসার মশিদুল হক বলেন, এ বছর আমাদের ১০ বিঘা লক্ষ মাত্রা আছে এবং ১০ বিঘা অর্জন হবে। আর আমরা উপজেলা থেকে সব সূর্য মুখি ফুলের জমি পর্যবেক্ষণ করছি। আবহাওয়া ও পরিচর্যা ঠিক মত করলে ভালো দাম পাবে। উপজেলায় সূর্য মুখি ফুল চাষ বাড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।