বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর রেখে যেত মোবাইল নাম্বার
বগুড়ার কাহালুতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মিটার ফেরত নিতে নাম্বার দিয়ে নিজের ফাঁদে নিজেই পরে ৫টি মিটার সহ গ্রেফতার হয়েছে মিটার চোর চক্রের এক সদস্য।
কাহালু থানার সেকেন্ড অফিসার ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা ও এ এস আই আবু তাহের সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে বিদ্যুৎতের মিটার চোর চক্রের সদস্য আবু মুসা মন্ডল (২৫) কে শিবগঞ্জ উপজেলার থেকে গ্রেফতার করেছেন এবং ৫টি মিটার উদ্ধার করেন।
কাহালু থানার সেকেন্ড অফিসার ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা জানান, গত রোববার রাতে কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়নের সাবানপুর গ্রামের গভীর নলকুপের বিদ্যুৎতের মিটার চুরি করেন এই চক্র। তারপর সেখানে ১টি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে আসে যোগাযোগ করার জন্য চোর চক্র।
এ ঘটনায় কাহালু থানায় গত ০৬/০৪/২০২০ইং তারিখে ১টি জিডি দায়ের করেন সাবানপুর গভীর নলকুপের পক্ষে আব্দুল মালেক। থানায় জিডি দায়েরের পর পুলিশের কথামত চোর চক্রের দেওয়া নম্বরে ফোন আলাপ করেন বাদী নলকুপের মালিক আব্দুল মালেক। মিটার পেতে বিকাশের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা দেওয়ার দাবী করেন চক্রটি। আব্দুল মালেক টাকা দিতে চাইলে চক্রটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচঁক বাজারের সাকিল টেলিকম দোকানের বিকাশ নম্বর দেন। গত সোমবার সকালে কাহালু থানা পুলিশ গোপনে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচঁক বাজারে অবস্থান নেন এবং বাদী আব্দুল মালেককে বলতে বলেন যে উক্ত বিকাশ নম্বরে টাকা দিয়েছেন।
এ সময় চোর চক্রের সদস্য আবু মুসা মন্ডল উক্ত বিকাশের দোকানে টাকা নিতে আসলে কাহালু থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া তথ্যমতে থানা পুলিশ চোরাইকৃত ৫টি মিটার উদ্ধার করেন। গ্রেফতারকৃত আবু মুসা মন্ডল শিবগঞ্জ উপজেলার কিচঁক বেলাই গ্রামের মৃতঃ নুরুল ইসলামের পুত্র। জানা যায়, প্রতি বছর ইরি বোরো মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাঠে থাকা গভীর ও অগভীর নলকুপের বিদ্যুৎতের মিটার চুরি করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে প্রতারনা করে আসছে মিটার চোর চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে।
এ ব্যাপারে কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়া লতিফুল ইসলাম এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত মিটার চোর চক্রের সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এই চক্রের অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।