পুলিশ সুপারের ছোট্ট একটি কাজে যেন মানসিক প্রশান্তি
হারুন উর রশিদ/বগুড়া লাইভঃ পুলিশ হচ্ছে একটি দেশের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত আইন কার্যকর, সম্পত্তি রক্ষা, সামাজিক অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা এবং জনগণের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ কি শুধুই আইনরক্ষা বাহিনীর সদস্য?
না, পুলিশ জনগণের বন্ধুও বটে,আর এই উক্তিটি শুধু উক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। খোদ প্রমাণ করিয়েই ছাড়লেন বগুড়া জেলা পুলিশের একজন সুবক্তা, সদাহাস্যোজ্জ্বল, প্রাণখোলা, সৃষ্টিশীল এবং একজন সৎ ও মানবদরদী পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)
গভীর রাতে সকল ফার্মেসীর দোকান বন্ধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক, এ্যাজমা শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে যখন সেই রাতে পুলিশ সুপারকে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে ফোন করে ইনহেলার চেয়ে বসে তখন পুলিশ সুপারের হৃদয় নাড়া দিয়ে যায়।
সেই রাতেই পুলিশ সুপার একজন টিএসআই এর মাধ্যমে ব্যবস্থা করেন ইনহেলার। সুস্থ হয়ে যান সেই শ্বাসকষ্টের রোগী, খুশি হয়ে পুলিশ বাহিনীর জন্য পড়েন দুই রাকাত নফল নামাজ।
কাজটি করতে পেরে প্রশান্তির কথা নিজের ফেসবুক ওয়ালে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জনাব আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার স্যার।
নিচে Ali Ashraf স্যারের ফেসবুকের পোষ্ট টি হুবহু তুলে ধরা হলো-
গভীর রাতে একটি ফোন কলে ঘুম ভাঙলো।অপরপ্রান্ত থেকে একজন কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললেন স্যার আমি বহুদিন ধরে এজমার রোগী,শ্বাসকষ্টের রোগী,আমার একটি ইনহেলার প্রয়োজন কোথাও পাচ্ছি না,প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে, মনে হচ্ছে মারা যাবো,আমাকে একটু দয়া করেন।এত গভীর রাতে কোথায় পাব ইনহেলার? সিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির টিএসস আই গোলাম কিবরিয়াকে বললাম সে খুব কষ্ট করে একটি ইনহেলার জোগাড় করে তাকে পৌঁছে দিল।একটু আগে রোগীকে কল দিলাম জিজ্ঞেস করলাম তিনি কেমন আছেন? প্রায় কেঁদে দিলেন, বল্লেন স্যার ভালো আছি।আপনাদের জন্য দু’রাকাত নফল নামাজ পড়ে প্রতিপালকের কাছে দোয়া করেছি।
কাজটি অনেক ছোট কিন্তু মানসিক প্রশান্তি অনেক বড়