বগুড়ায় করোনা পজিটিভ হওয়া রংপুরের ব্যক্তির ফলাফল নেগেটিভ

বগুড়ায় করোনা পজিটিভ হওয়া রংপুরের শাহ আলমের বর্তমান ফলাফল নেগেটিভ, অর্থাৎ তার শরীরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস নেই এমনটি জানান, বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।
গত ২৮ মার্চ রাতে শাহ আলম ট্রাকে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে ঢাকা থেকে বাড়ির দিকে রওনা হন। পথিমধ্যে তার কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে অন্য যাত্রী এবং ট্রাক চালক-হেলপারের মাঝে করোনাভাইরাস আতঙ্ক দেখা দেয়।
২৯ মার্চ ভোরে ট্রাকটি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে অন্য যাত্রীদের চাপে চালক ও হেলপার শাহ আলমকে নামিয়ে দিয়ে চলে যান। তিনি দীর্ঘক্ষণ সেখানে পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে পুলিশ রিকশাভ্যানে তাকে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে তাকে হৃদরোগী হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। দুদিন হৃদরোগ বিভাগ থাকার পর সন্দেহভাজন করোনা রোগী হিসেবে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।
তার শরীরের নমুনা রামেক হাসপাতাল ও ঢাকায় আইইডিসিআরে দুদফা পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যায়, তিনি করোনাভাইরাস পজিটিভ। পরে তাকে আইসোলেশনে আলাদা রাখা হয়।
করোনা নেগেটিভ আসা শাহ আলমকে কবে ছাড়পত্র দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, এখনই তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হবেনা, নতুন করে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন রাখা হবে তারপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
এদিকে,বগুড়ায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজে করোনার উপসর্গযুক্ত রোগীর নমুনা পাঠানোর মোট ২০৫ টি নমুনার ১৩৪ টি ফলাফল নেগেটিভ এসেছে অর্থাৎ তাদের শরীরে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। বাকি ৭১ টি ফলাফল এখনো আসেনি, তবে পর্যায়ক্রমে আসবে বলে এমন তথ্য ১৫ এপ্রিল রাত ৮টায় নিশ্চিত করেছেন, বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন আরো জানান, ২৪ ঘন্টায় বগুড়ায় নতুন করে ৩৩২ জন সহ মোট ৫০৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় ৩৩২ জন হোম কোয়ারেন্টাইন থাকা ব্যক্তির ৩৩১ জনই শিবগঞ্জ উপজেলার বাকি ১ জন শেরপুর উপজেলার।