বগুড়ায় ২০ টাকার বেগুন ৮০ টাকা
সিয়াম সাদিক আফ্রিদি: বগুড়ায় অন্যতম একটি হাট মহাস্থান হাট। সকল ধরনের কাচা সবজি বিক্রয়ের অন্যতম স্থান এটি। প্রতিদিন সকালে সকল প্রকার সবজি ক্রেতা বিক্রেতাদের অন্যতম মিলস্থান মহাস্থানের হাট।
শনিবার কৃষকেরা হাটে বেগুন বিক্রয় করেছেন ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে। সেই একই বেগুন সদরের রাজাবাজার ও ফতেহ আলী বাজারের খুচরা ক্রেতারা কিনেছেন ৮০ টাকা দরে।
রমজানে ইফতারের অন্যতম একটি খাবার বেগুন। সে উপলক্ষে মহাস্থান হাট থেকে ক্রয় করে সদরে আসার পর বিক্রয় হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। যা কৃত মূল্যের থেকে তিন থেকে চার গুণ বেশি দাম।
রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বেড়েছে। এদিকে করোনার প্রকোপে কর্মহীন মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে।
হাসান আলী, সবজি বিক্রেতা মহাস্থান হাট থেকে বেগুন কেনেন ২০ টাকা দরে। মহাস্থান থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়া সদরে আসতে প্রতি কেজি যানবাহন খরচ পড়ে ১ টাকা। এরপর খাজনা ও অন্যান্য খরচ বাবদ আরো ৩ টাকা। অর্থাৎ ক্রয় বাবদ ২৫ টাকা করে খরচ পড়ে।
তবে রমজান উপলক্ষে প্রয়োজনীয় খাদ্য বেগুনী হওয়ায় বেগুণের দাম বেড়েছে প্রায় তিন থেকে চার গুণ।
মহাস্থান হাটে শনিবার হাইব্রিড ও দেশি জাতের করলা প্রতি কেজি ১০ টাকা, গোল বেগুন ২০, শসা ১০, কাঁচা মরিচ ২০, মূলা ১০, পটোল ২০, বরবটি ৩০, মিষ্টিকুমড়া ১২, টমেটো ১৫, ধনেপাতা ১৫, লম্বা বেগুন ১৫, ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙে ১০ এবং গাজর ১৫ টাকা কেজি আর লেবু ১৫ টাকা হালি দরে বিক্রয় হয়েছে।
তবে এক দিন আগে শুক্রবার এই হাটে হাইব্রিড করলা কেজি ৪ টাকা, শসা ৪, বেগুন ৫, গাজর ১০, পটোল ১৫, কাঁচা মরিচ ১৫, মুলা ২, বরবটি ১০, মিষ্টিকুমড়া ৫, টমেটো ৫ ও ধনেপাতা ১০ টাকা এবং লেবু প্রতি হালি ১০ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে।
শনিবার বগুড়ার ফতেহ আলী বাজারে গোল বেগুন বিক্রয় হয়েছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজি, করলা ৩০, শসা ৪০, পটোল ৬০, মুলা ৩০, বরবটি ৬০, মিষ্টিকুমড়া ২৫, টমেটো ৪০, ধনেপাতা ১০০, ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙে ৫০ এবং গাজর ৪০ টাকা আর লেবু ৫০ টাকা হালি দরে বিক্রয় হয়েছে।
অন্যদিকে কমেছে পেয়াজের দাম। বাজারে দেশি জাতের পেয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রয় হতো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। তবে গতকাল ভারত থেকে পণ্য আমদানি শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে পেয়াজের বাজারে। ৫৫ টাকার পেয়াজ বিক্রয় হচ্ছে এখন ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে।