করোনা সংকটে মানবিক হয়ে উঠার গল্প
বগুড়ায় অভুক্ত প্রাণীকূলের পাশে একদল স্বপ্নবাজ তরুণ
করোনা মহামারীর এই সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে মানুষের সাথে মহা সংকটে পড়েছে আশেপাশের অবলা প্রাণীগুলো। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা এগিয়ে এসেছে মানুষের পাশে। কিন্তু এই নির্বাক প্রানীগুলোর দিকে এখনো চোখে পড়ার মতো তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। বিশেষ করে মানুষের হাজার বছরের সঙ্গী প্রভুভক্ত কুকুরগুলো পড়েছে খুবই বিপদে। এই উপলব্ধি থেকে রাস্তার এই কুকুরগুলোর খাদ্যের জোগান দিতে এগিয়ে এসেছে বগুড়ার শাহেদ শুভ ও কিছু উদ্যোমী তরুণ।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে তারা বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায়, নিয়মিতভাবে কুকুরের খাদ্যের জোগান দিচ্ছেন। তারা খাবারে মুরগির মাংস দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি দেয় নিয়মিত এই অভুক্ত কুকুরগুলোকে।
এই মানবিক উদ্যোগের বিষয়ে শাহেদ শুভ বলেন, করোনা মহামারীর এই সংকটে মানুষের সাথে সাথে এই অবলা প্রানীগুলো খাদ্য সংকটে পড়েছে ভীষণভাবে। আমাদের ত্রাণের জোগান শুধুমাত্র মানুষ কেন্দ্রিক। অথচ এই প্রানী গুলোও প্রকৃতির অংশ। এবং এরা আমাদের উপরেই নির্ভরশীল। একান্ত মানবিক কারণেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো। আমার খুবই কাছে কিছু উদ্যোমী ছোটো ভাইদের নিয়ে এই কার্যক্রম আমরা চালিয়ে যাচ্ছি নিয়মিতভাবে। এক্ষেত্রে সরোজ রনা ও সিয়ামের নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। ওরা না হলে এই কার্যক্রম চালানো অসম্ভব ছিলো।
শাহেদ শুভ আরও জানান, শুরুতে আমাদের পরিধি খুবই সীমিত ছিলো। কিন্তু এখন রোজ প্রায় দুইশো কুকুরকে খাওয়ানো হচ্ছে নিয়মিত। অনেকেই আমাদের এই উদ্যোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখে আমাদেরকে উৎসাহ দিয়েছেন। কেউ কেউ আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন নিজেদের তাড়না থেকে। তবে সমস্ত উদ্যোগ চালাতে ব্যক্তিগত ভাবে আমি নিয়মিত আমার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের একান্ত ইচ্ছা এই কার্যক্রম ঠিক ততদিন চালানো যতদিন না আমাদের এই সংকট কেটে যাচ্ছে। যে এলাকাগুলোতে আমরা খাবার দিতে যাচ্ছি সেখানেই মানুষের উৎসাহ পাচ্ছি, আর এই উৎসাহ আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা যোগাচ্ছে, আরো মানবিক হয়ে উঠার পেছনে।