করোনা আপডেট

করোনাজয়ী ৫ জন মুক্তি পেলেন বগুড়া আইসোলেশন থেকে

আজ ৬ মে (বুধবার) দুপুর ২ টায় বগুড়া আইসোলেশন হিসেবে গড়ে ওঠা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল থেকে ৫ জন রোগীকে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ অবস্থায় ছুটি প্রদান করা হয়েছে। করোনা জয়ী সকলের হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার চেকও প্রদান করা হয়।

করোনাজয়ী ৫ জনকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ‘আমরা করবো জয়’ গানের মধ্য দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানানো হয়।

আমরা করবো জয়’ গানের মধ্য দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

করোনা জয়ী ব্যক্তিরা হলেন, মোঃ রিপন(২৫), নারচি, সারিয়াকান্দি উপজেলা, বগুড়া। যিনি নারায়নগঞ্জের পপুলার ডায়াগনস্টিক হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কোহিনূর (৪৭) সোনাতলা, বগুড়া। যিনি ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। নুরুন্নবী (২৮), মাথুয়াপুর, ধুনট, বগুড়া। যিনি পেশায় একজন গার্মেন্টসকর্মী ছিলেন। মামুনুর রশিদ (২৮), গনকপাড়া, সারিয়াকান্দি, বগুড়া। যিনি ঢাকা ফেরত একজন কলেজ শিক্ষক ছিলেন। জাহিদুল ইসলাম(৪০), সবুজবাগ, বগুড়া সদর। যিনি পেশায় একজন সেলস ডিস্ট্রিবিউটর ছিলেন। এছাড়া সন্দেহভাজন হিসেবে ভর্তি হয়েছিলেন মৌসুমি(২৮), সদরের সবুজবাগ এলাকার। যার করোনা নেগেটিভ আসায় আগেই ছুটি দেওয়া হয়েছে।

সুস্থ হওয়া সকলেই জানিয়েছেন তাদের মনের কথাগুলো এতোদিন তারা কীভাবে কাটিয়েছেন এবং সকল ডাক্তার, নার্স ও তাদের সেবায় নিয়োজিত সকলকেই আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

তাদের মধ্যে সুস্থ হওয়া জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে আমি শুকরিয়া জানাই আল্লাহর কাছে। যিনি আমাকে সুস্থ অবস্থায় আবারো ফিরিয়ে দিয়েছেন। এছাড়া যেসব ডাক্তার আছেন ও নার্স আছেন তারা সবাই আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের। আমি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে শুনেছিলাম যে যারা করোনা আক্রান্ত তাদের অনেকের কাছেই কোন ডাক্তার বা নার্স ভয়ে যায়নি। কিন্ত আমার ক্ষেত্রে পুরা ব্যতিক্রম। তারা আমাকে সবাই সাহায্য করেছেন এবং সকলকে সুস্থ করেছেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাসুম আলী বেগম, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয়, বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সামির হোসেন মিশু, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা: শফিক আমিন কাজল সহ অন্যান্য স্বাস্থ কর্মী। যাদের নিরলস প্রচেষ্টায় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন এই ৫ জন।

করোনায় আক্রান্ত বেশিভাগ ছিলেন মধ্যম বয়সী। বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা: শফিক আমিন কাজল জানান, যেহেতু সুস্থ হওয়া ৫ জনের মধ্যে ৩ জনই মধ্যবয়সী তাই আমি বলবো শহরে যেখানে সেখানে অবাধে ঘোরাফেরা না করে বাসায় অবস্থান করে। আমার মতে করোনাকে খুব বেশি ভয়ের কিছু নেই। কারণ করোনাতে আমাদের মতো বয়সী বা তরুণ তাদের খুব বেশি ক্ষতি করতে পারবে না।

মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: এটিএম নুরুজ্জামান সঞ্চয় জানান, তাদের হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। এমনকি উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে তারাও কেউ করোনা আক্রান্ত ছিলেন না।

সিয়াম সাদিক/বগুড়া লাইভ

এই বিভাগের অন্য খবর

এছাড়াও দেখুন
Close
Back to top button