বগুড়া সদর উপজেলা

কৃষকের স্বপ্ন ভাঙ্গলো ঝড় শিলাবৃষ্টিতে



বগুড়ার সদর উপজেলায় গতকালের শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের কারনে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলার , শাখারিয়া, শেখেরকোলা ইউনিয়ন এবং গাবতলী উপজেলার নারুয়ামালা ইউনিয়নের অনেক এলাকার শিলা বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে বিপদে পড়তে যাচ্ছেন কয়েক হাজার কৃষক।

এবছর ধানের বাম্বার ফলন হলেও ধান পাকার শুরুতেই এমন শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকেল ৩ টায় ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির এক পর্যায়ে সদরের বেশ কয়েকটা ইউনিয়নসহ অনেক এলাকার উপর দিয়ে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শিলাবৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকার কয়েক হাজার হেক্টর জমির আধা পাকা, এবং পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়।
এছাড়া করলা,পাট, বরবটি,ডাটা সহ বিভিন্ন ফসল শিলাবৃষ্টির কবলে নষ্ট হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার গোপালবাড়ি গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী বলেন,এমনিতেই করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অন্যান্য ফসলে লোকসান গুনতে হইছে, ধানের বাম্পার ফলন দেখে ভালোই লেগে ছিলো। এর মধ্যে শিলাবৃষ্টিতে যে ক্ষতি হলো তা হয়তো আর পোষানো সম্ভব হবে না। ২ বিঘা জমির ধানের বেশির ভাগ অংশ শিলাবৃষ্টি পরে মাটিতে পরে গেছে।

গ্রামের আরেক কৃষক মিনহাজ উদ্দিন জানান, তিনি প্রায় ৪ বিঘা জমিতে ধান এবং ৫০ শতাংশ জমিতে পাট রোপন করে ছিলেন। শিলা বর্ষণে বেশিভাগ ধান ঝরে পরে গেছে। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শষা সহ অন্যান্য ফসল বাজারে নায্য মূল্য বিক্রি করতে পারিনি। যত ভোগান্তি শুধু কৃষকদের।
জমির ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারে নিকট সহায়তা চান প্রান্তিক এই কৃষকেরা।


সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতা এনামুল হক বলেন, শিলাবৃষ্টিতে কয়েক হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে বলে ধারনা করছি। মাঠ পর্যায়ে তালিকার কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।

শাখারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রভাষক কামরুল হুদা উজ্জ্বল বলেন, শাখারিয়া ইউনিয়নে ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির ফলে অনেক কৃষকের হাজার হাজার টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি আমার শাখারিয়া ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনীত অনুরোধ জানায় খেঁটে খাওয়া এসব কৃষকদের অপূরনীয় ক্ষতি পুষিয়ে তুলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button