করোনার ঝুঁকি নিয়ে ঈদ কেনাকাটায় ব্যস্ত বগুড়াবাসী
সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল-মার্কেট খোলার নির্দেশনা থাকলেও, তা না মেনে বগুড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। সীমিত সময়ে কেনাকাটার সুযোগে সামাজিক দূরত্বের ব্যাপারে যেন উদাসীন বেশির ভাগ মানুষই। আর ছোট-বড় মার্কেট ও শপিংমলে সবগুলোতেই দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।
বগুড়া সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য মতে বগুড়ায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৩৯ জন, ৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ায় বর্তমানে বগুড়ায় করোনা পজিটিভ রোগীর সংখ্যা ৩০ জনে।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ সম্পর্কে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার মানুষ।
গতকাল রোববার ১০ মে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট সীমিত আকারে খোলার নিয়ম থাকলেও তা মানছে না কেউ’ই। ক্রেতাদের মধ্যে নেই কোন সামাজিক দূরুত্ব।
এছাড়াও গত ৯ মে বগুড়া জেলা প্রসাশক ফয়েজ আহম্মদ এর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এক উপজেলার মানুষ অন্য উপজেলায় এসে কেনাকাটা করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও, সেই নিয়ম কাগজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বগুড়া শহরের রফিক খান নিউ মার্কেট,আহম্মেদ নিউ মার্কেট, হকার্স মার্কেট সহ ছোট বড় সকল কাপড়,জুতা স্যান্ডেলের দোকানে ছিল উপচে পড়া ভীড়।
কেনাকাটা করতে আসা আমিনুর রহমান নামে এক খদ্দের জানান, এক বছর পর ঈদ আসে, নিজের জন্য না হলেও ছেলে মেয়েদের আনন্দের জন্য করোনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসতে হইছে।
বগুড়া আহম্মেদ নিউ মার্কেটের এক দোকান কর্মচারী ওয়াহেদ বলেন, লকডাউনের পূর্বে থেকে দেড় মাস যাবৎ বাড়িতে বসে আছি। বাবা মা ছোট ভাই বোনের খাবার নির্ভর করে আমার ইনকামের উপর। আমার উপার্জন বন্ধ থাকায় ধার দেনা করে চলেছি,কিন্ত আর কত? তাই জীবনের ঝুঁকি থাকলেও নিজের কর্মে আসতে বাধ্য হয়েছি।