নিলামে চড়া দাম পাচ্ছে মুশফিকের ব্যাট
নিলাম শেষ হতে বাকি এখনো দুই দিন। এর মধ্যেই সাকিব আল হাসানের ব্যাটকে টেক্কা দিল মুশফিকুর রহিমের ব্যাট।
করোনাভাইরাসে দূর্গতদের সাহায্যার্থে ২০১৯ বিশ্বকাপে খেলা ব্যাট নিলামে বিক্রি করেছেন সাকিব। ২০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল সেই ব্যাট। এদিকে ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির ব্যাটটি নিলামে তুলেছিলেন মুশফিক। নিলাম শেষ হওয়ার দুই দিন বাকি থাকতেই এ ব্যাটের দাম উঠেছে ৪০ লাখ টাকা। মুশফিকের ইতিহাস গড়া এই ‘এস এস’ ব্যাট ছুঁতে পারবে অর্ধ কোটির ঘর?
সময় হলেই তা দেখা যাবে। আপাতত করোনাভাইরাসের বিপক্ষে লড়াইয়ে দেশের ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগত যা কিছু নিলামে তুলেছেন সেসবের মধ্যে মুশফিকের এই ব্যাটের দামই উঠল সবচেয়ে বেশি। নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে সরাসরি এ নিলামের লিংক দিয়েছেন মুশফিক। ব্যাটের দাম কত উঠছে সেখানে তা দেখে নিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এ পর্যন্ত ৫২বার মুশফিকের ব্যাটের দাম হাঁকা হয়েছে। নিলামে ব্যাটের ভিত্তিমূল্য ছিল ৬ লাখ টাকা।
২০১৬ সালে সিডনিতে স্থানীয় দোকানে একটি ক্রিকেট ব্যাটে সই করেছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।১৫জনের বেশি ক্রিকেটার সই করেছিলেন সেই ব্যাটে। সেই ব্যাট হাতবদল হয়ে কাল অকশন ফর অ্যাকশনে নিলাম করে বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ টাকায়। এই টাকা সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনা দূর্গতের সাহায্যে ব্যয় করা হবে।
এ ছাড়াও নিলামে উঠেছে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক আকবর আলীর জার্সি ও গ্লাভস, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম শেখের ব্যাট, মাশরাফি বিন মুর্তজার সই করা ক্যাপ, ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের সই করা একটি ব্যাট।
মাশরাফির ক্যাপের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ভারতের বিপক্ষে ৮১ রানের ইনিংস খেলা ব্যাটটি নিলামে তুলেছেন নাঈম শেখ। তাঁর ব্যাটের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের সই করা ব্যাটের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দাম উঠেছে এ পর্যন্ত। এসব নিলাম শেষ হতে বাকি আর দুই দিন।
মোসাদ্দেকের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের ব্যাটের দাম এ পর্যন্ত উঠেছে ৩ লাখ ১ হাজার ২ টাকা। যুব বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক আকবর আলীর জার্সি ও গ্লাভসের ভিত্তি মূল্য ছিল ১ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত দাম উঠেছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।