ঈদুল ফিতরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ১৪ নির্দেশনা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
ডিএমপির ১৪ নির্দেশনাঃ
১. ঈদের নামাজের জামাতের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।
২. ঈদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৩. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ মসজিদে প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. মসজিদের ওজু খানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে।
৫. ঈদের নামাজের জামাতে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
৭. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতারবদ্ধ হতে হবে।
৮. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকুন।
৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সাথে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার ক্ষেত্রে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রাখার জন্য মসজিদ কমিটিকে অনুরোধ করা হলো।
১০. করোনা পরিস্থিতিতে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাতায়াত করা থেকে বিরত থাকুন।
১১. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াত না করে নিজ ঘরে অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করুন।
১২. ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাহিরে যাবেন তারা তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন এবং বাসাবাড়ী ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন।
১৩. খালি বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় তা রেখে যান।
১৪. মালিক পক্ষ স্ব স্ব মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করুন এবং আপনার এলাকার থানা/ফাঁড়ির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।
মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্মানিত ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের অনুরোধ করেছেন।