বগুড়ায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণী গন্ধগোকুলের ৪টি ছানা উদ্ধার
বগুড়ায় বৃহস্পতিবার বিকালে শাজাহানপুর উপজেলার একটি বাড়ি থেকে গন্ধগোকুলের চারটি বাচ্চাকে উদ্ধার করা হয়েছে। গন্ধগোকুলের চারটি ছানা উদ্ধার করেছেন বগুড়া বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব। তবে উদ্ধারের আগেই মা গন্ধগোকুলটিকে মেরে ফেলা হয় বলে জানা গেছে।
তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব বলেন, দুপুরে ঐ এলাকার একজন ফোন করে জানান যে বিব্লক ক্যান্টনমেন্ট এর পাশের এলাকার কিছু দুষ্টু বালকের কাছে একটি মা গন্ধগোকুল ও তার চারটি ছানাকে দেখেছেন। পরে প্রাণীগুলোকে উদ্ধারের জন্য আমি বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁইয়া এবং বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এ এস এম জহির উদ্দিন আকন্দকে ট্যাগ করে ফেসবুকে পোস্ট দিই।
সাথে সাথেই পুলিশ সুপার জানার পরে ঐ থানার ওসির সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেন। এরপর বিকাল ৪টায় পুলিশের সহযোগিতায় ঐ বাড়ি থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্যের উপস্থিতিতে বাচ্চাগুলো উদ্ধার করেন।
তৌহিদ পারভেজ বিপ্লব আরও জানান, ছানাগুলো জীবিত উদ্ধার করা গেলেও মা গন্ধগোকুলটিকে আগেই মেরে ফেলা হয়।
উদ্ধারকৃত গন্ধগোকুলের ছানাগুলোকে বগুড়ার পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তীর’ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সুস্থ হলে এবং ছাড়ার উপযোগী হলে এগুলোকে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হবে বলে জানা যায়।
গন্ধগোকুল ‘সাধারণ বা এশীয় তাল খাটাশ’, ‘ভোন্দর’, ‘নোঙর’, ‘সাইরেল’ বা ‘গাছ খাটাশ’ নামে পরিচিত। তালের রস বা তাড়ি পান করে বলে তাড়ি বা টডি বিড়াল নামেও পরিচিত। গন্ধগোকুল বর্তমানে অরক্ষিত প্রাণী হিসেবে বিবেচিত। পুরোনো গাছ, বন-জঙ্গল কমে যাওয়ায় দিন দিন এদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) বিবেচনায় পৃথিবীর বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় উঠে এসেছে এই প্রাণীটি। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন প্রজাতির গন্ধগোকুলের বাস।