বগুড়ায় অবরুদ্ধ ১৩ ছাত্রীকে উদ্ধার করলো পুলিশ

বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় অগ্রিম ভাড়ার দাবিতে ব্যক্তি মালিকানাধীন মুন্নজান ছাত্রী নিবাসে ১৩ জন ছাত্রীকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে। সোমবার বগুড়া শহরের কামারগাড়ি রেডিলাইট কমপ্লেক্স সংলগ্ন মুন্নুজান ছাত্রী নিবাসে এ ঘটনা ঘটে।
এদিন বেলা ১২টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে খবর পেয়ে পুলিশ সহ গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ছাত্রী এবং অভিভাবকদের সাথে অগ্রিম ভাড়া নিয়ে ছাত্রী নিবাসের সুপার হাফিজা বেগমের সাথে বাকবিতন্ডা চলছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসার পর ছাত্রীরা ঐ ছাত্রীনিবাস ত্যাগ করে। ছাত্রীদের অভিযোগ গরমের সময় প্রায় ১০/১২টি করে সাপ নিচতলায় দেখা যায়।
কর্তপক্ষকে বললেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয় না। শুধু ভাড়াটায় তাদের কাছে মুখ্য। ছাত্রীনিবাসের চুরি হয়েছে। চুরি ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তা কোথায়। অথচ ওই হোস্টেলে তিন শতাধিক ছাত্রী ভাড়া থেকে বগুড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে।
মুন্নুজান ছাত্রীনিবাসের হোস্টেল সুপার হাফিজা বেগম জানান, এপ্রিল থেকে তিন মাসের ভাড়া চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা দিবে না। পরে মালিক আব্দুল্লাহেল কাফীর সাথে কথা বললে দুই মাসের ভাড়া নিয়ে ছাত্রীদের ছেড়ে দিতে বলেন।
বগুড়া শহরের স্টেডিয়াম ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর আলম জানান, মালিকের সাথে কথা বলেছি, যার টাকা আছে সে দিয়ে যাবে, আর যার নাই সে পড়ে এসে দিবে। তবে টাকার জন্য কোনো ছাত্রীকে আটকে রাখতে পারবে না। তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ছাত্রী নিবাস ত্যাগ করতে বলা হয়েছে তাতে যদি ছাত্রীরা বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে ছাত্রী নিবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।