বগুড়ায় ২৪ ঘন্টায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ টি এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রিয়েল টাইম পলিমেরাস চেইন রিয়্যাকশন (আরটি পিসিআর) ল্যাবে ২০টি নমুনা পরীক্ষায় মোট ৩৫ জনের শরীরে কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে।
আজ সোমবার ১ জুন, শজিমেক এর পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ টি নমুনার মধ্যে ২৮ জন এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের রিয়েল টাইম পলিমেরাস চেইন রিয়্যাকশন (আরটি পিসিআর) ল্যাবে ২০টি নমুনার মধ্যে ৭ জন এ নিয়ে মোট ৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আজকের এই (১৮৮+২০) সর্বমোট ২০৮ টি নমুনা সবগুলোই বগুড়া জেলার বলে খবরটি আজ রাত ৮টায় ফেসবুকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।
বগুড়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার সবচেয়ে বেশি ২১ জন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলোঃ জলেশ্বরীতলা, মালতীনগর, মাটিডালি, আটাপাড়া, হাকিরমোড়, মালগ্রাম, কলোনী, সুত্রাপুর, শিববাটি, সাবগ্রাম ও নারুলী।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার মধ্যে সারিয়াকান্দির ৬ জন, শাজাহানপুরের ৩ জন, গাবতলীর ২ জন এবং শেরপুর, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন।
আজকের আক্রান্তদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১জন, নারীর সংখ্যা ৮জন এবং পুরুষের সংখ্যা ২৬ জন। বয়স অনুপাতে (০-১৮) বছরের মধ্যে শিশু ১জন, (১৮-৪০) বছরের মধ্যে ২২ জন, (৪১-৫০) বছরের মধ্যে ৫ জন এবং (৫১-৭০) বছরের মধ্যে ৭ জন।
এ নিয়ে বগুড়া জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৩৯২ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ২০জন। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। বর্তমান করোনা আক্রান্ত রোগী থাকলো ৩৭২ জন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজনের উপসর্গ রয়েছে। তবে বেশিরভাগই সুস্থ আছেন। বিধায় তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। এছাড়াও করোনা থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহ অপ্রয়োজনীয় ভাবে বাইরে ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।