বগুড়ায় পুলিশ, আইনজীবী সহ মোট ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত
বগুড়ায় একদিনে করোনা শনাক্তে আবারো রেকর্ড
বগুড়ায় গত ২৪ ঘন্টায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ১৭৬ টি নমুনা বগুড়া জেলার এবং বাঁকী ১২ টি নমুনা জয়পুরহাট জেলার। এছাড়াও টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সর্বমোট (১৭৬+১৯) টি নমুনা পরীক্ষার মধ্যে বগুড়া জেলায় আজ ৫৭ জনের শরীরে কভিড-১৯ অর্থাৎ করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার ২ জুন, শজিমেক এর পিসিআর ল্যাবে বগুড়ার এই ১৭৬ টি নমুনার ফলাফলে মোট ৪৭ জন এবং টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে ১৯ টি নমুনার ফলাফলে বগুড়ার ১০ জন সহ জেলায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে খবরটি আজ রাত ৮টায় ফেসবুকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন।
বগুড়ায় আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৩৫ জন রোগীর উল্লেখযোগ্য এলাকাগুলো হলোঃ চেলোপাড়া, নাটাইপাড়া, সদর থানা এবং ফুলবাড়ি পুলিশ ফাড়ির পুলিশ সদস্য রয়েছে ৷
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার মধ্যে শেরপুরের ৫ জন, গাবতলীর ৩ জন, সারিয়াকান্দি, শাহজাহানপুর, আদমদিঘী এবং ধুনট উপজেলায় ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান ডেপুটি সিভিল সার্জন। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে টিএমএসএসের আরটি পিসিআর ল্যাবের বগুড়ার ১০ জন করোনা পজিটিভ ব্যক্তির এলাকার তথ্য জানা সম্ভব হয়নি ।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, আজকের সদরের আক্রান্তদের ৩৫ জনই পুরুষ ৷ বয়স অনুপাতে (০-১৮) বছরের মধ্যে কোন শিশু আক্রান্ত হয়নি, (১৮-৪০) বছরের মধ্যে ২৬ জন, (৪১-৫০) বছরের মধ্যে ৯ জন এবং (৫১-৭০) বছরের মধ্যে ১২জন।
জানা যায় আজকের আক্রান্ত ব্যাক্তিদের মধ্যে ১৪ জনই পুলিশ সদস্য ৷ তাদের একজন হলেন শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান। অন্য ১৩ জন বগুড়া সদর থানার ও ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এছাড়াও আজ ১ জন আইনজীবি আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, হোম আইসোলেশন থেকে আজ ১২ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন।
এ নিয়ে বগুড়া জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৪৪৯ জন। এদের মধ্যে সর্বমোট ৩৩ জন সুস্থ হওয়ায় বর্তমান করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৬ জন। তবে জেলায় এ পর্যন্ত ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ডেপুটি সিভিল সার্জন জানান, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজনের উপসর্গ রয়েছে। তবে বেশিরভাগই সুস্থ আছেন। বিধায় তাদেরকে নিজ নিজ বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হবে। এছাড়াও করোনা থেকে বাঁচার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সহ অপ্রয়োজনীয় ভাবে বাইরে ঘোরাঘুরি করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ প্রদান করেন।