বগুড়ায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার এর কঠোর নজরদারি
বাড়ির নির্মাণ কাজ পর্যবেক্ষণ শুরু করছে জেলা পুলিশ বগুড়া।রডসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করতে কেউ ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন প্রকার নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয়ের চেষ্টা করলে অথবা চাঁদা দাবি করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।অপরাধীর কোন দল বা মত থাকেনা তাই বগুড়ার সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে অন্যায় করলে সে যেই হোক না কেন কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা এবং যেকোন মূল্যে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার)।
বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মাটিডালী উচ্চ বিদ্যালয় হলরুমে বগুড়া সদর থানার আয়োজনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং এলাকাবাসীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় জনগণদের নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অনুষ্ঠিত ঐ সভায় জেলা পুলিশ সুপার আরো বলেন, বগুড়ায় কোন চাঁদাবাজদের ঠাঁই হবেনা। ইতিমধ্যেই বগুড়ায় মাদকের সাথে যুক্ত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এই করোনাকালেও অভিযান চলমান রয়েছে। যেসব অপরাধ ইতিমধ্যেই সংগঠিত হয়েছে তা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে অনেক আসামীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে তবে ভবিষ্যতে যেন কোন ধরণের অপরাধের কোন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই লক্ষ্যে তিনি উপস্থিত জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের মাধ্যমে সকলের কাছে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম বদিউজ্জামান এর সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম দুলু, বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মাশরাফি হিরো, মাটিডালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহবুবুর রহমান তারা, প্রধান শিক্ষক লালমিয়া, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এমদাদুল হক, বগুড়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মেজবাউল হামিদ মেজবা, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম মোরশেদ মিল্টন, ২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিটু, ১৮ নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর টিপু সুলতান মানিক সরকার,বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা, ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: শফিকুল ইসলাম পলাশ, এস.আই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।