তালেব হত্যা মামলা ২ আসামীর স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান
বগুড়ায় যুবলীগ নেতা তালেব হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ২ আসামী আদালতে স্বীকারক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
আজ বিজ্ঞ আদালতে তারা খুনের সাথে জড়িত থাকার করা স্বীকার করেছেন।
এর আগে বগুড়া সাবগ্রাম আকাশতারা এলাকায় দিন দুপুরে যুবলীগ নেতা আবু তালেব হত্যার ৬দিনের মাথায় হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে ২জন আসামীকে গ্রেফতার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন,আকাশতারা মধ্যপাড়া এলাকার আফসার প্রামানিকের ছেলে চান মিয়া এবং কাইয়ুম প্রামানিকের ছেলে বাপ্পারাজ।
গত ১৪ জুন রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে সাবগ্রাম বাজার ইউনিট যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আবু তালেব(৩৫) কে শহরের আকাশতারা জুট মিলের সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।ঘটনার পরপরই পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংশ্লিষ্ট ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারের নির্দেশনা প্রদান করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত তালেবের স্ত্রী বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় বেশ কয়েকটি টিম মাঠে নামে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারে তৎপর হয়।
পুলিশ সুপার মোঃ আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে নিরবিচ্ছিন্ন তদন্তে ঘটনার এজাহারনামীয় আসামি চাঁন মিয়া(২১) পিতা আফসার প্রামানিক এবং বাপ্পারাজ ওরফে বাপ্পা, পিতা কাইয়ুম প্রামানিক উভয় সাং আকাশতারা মধ্যপাড়া থানা সদর জেলা বগুড়াদ্বয়কে জেলা গোয়েন্দা শাখার একটা চৌকস টিম ইন্সপেক্টর এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের বারপুর এলাকা থেকে রক্তমাখা পোশাক পড়া গ্রেফতার করে।
ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়ানোর কারনে তারা পোশাক পরিবর্তন করতে পারেনি বলে জানায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলে তাদের নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধারে যাওয়া হয় এবং আকাশতারা বগুড়া – গাবতলী রোড সংলগ্ন (এশিয়ান পেইন্ট এর গুদামের সাথে)ইউক্যালিপটাস বাগানের ভিতর থেকে আসামিদ্বয়ের দেখানো মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু উপস্থিত জনগণের সামনে জব্দ করা হয়।
ঘটনায় জড়িত অপর আসামি ফিরোজ ওরফে ফোকরাকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।