বগুড়ায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পুর্নগঠন
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৭ (ছ) ধারায় নির্ধারিত কার্যাবলী সম্পাদনের জন্যে ধারা ১৭(ট) এর বিধান অনুযায়ী দুর্নীতি প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সততা নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টি করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় নতুন করে বগুড়ায় ১৩ সদস্য বিশিষ্ট ৩ বছর মেয়াদী জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি পুর্নগঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক চিঠির বরাতে জেলা দুপ্রকের উক্ত নবগঠিত কমিটির বিষয়ে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান।
আগামী ৩ বছরের জন্যে জেলায় দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুর রহিম এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বগুড়া এসওএস হারম্যান মেইনার কলেজের প্রভাষক অমরেশ চন্দ্র মূখার্জ্জী। সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ২ জন যথাক্রমে, সরকারি আজিজুল হক কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোজাম্মেল হক এবং ব্যবসায়ী নাহিদুজ্জামান নিশাদ। এছাড়া কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পুরাতন কমিটি থেকে আইনজীবি এ্যাড. বিনয় কুমার দাষ (বিশু), ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহম্মেদ, বাবুল আখতার রিপন, এ্যাড. মনোয়ারা খাতুন সোহানা এবং গণমাধ্যমকর্মী ও যুব সংগঠক সঞ্জু রায়। নব-গঠিত এই কমিটিতে এইবার নতুন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন সরদার, ডা: মো: শাহনেওয়াজ হোসেন, বিয়াম ল্যাব. স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক রহিমা খাতুন এবং নারী উদ্যেক্তা তহমিনা পারভীন শ্যামলী।
নবগঠিত কমিটি গঠনের বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়ার উপ-পরিচালক মো: মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, দুদক দুর্নীতি দমনে সরাসরি পদক্ষেপ নেয় আর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি সুপরিকল্পিতভাবে দুর্নীতি প্রতিরোধে সারাবছর নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এই কমিটির সম্মানিত নেতৃবৃন্দরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
পুরোনো কমিটির মেয়াদউর্ত্তীণ হওয়ায় স্থানীয়ভাবে গোয়েন্দা তদন্তের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে আগামী ৩ বছরের জন্যে উক্ত কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে যারা করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই নতুন আঙ্গিকে কাজ শুরু করবে।