তথ্য ও প্রযুক্তিমোবাইল

অপরাধ ঠেকাতে বিনামূল্যে ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়া প্যাক বন্ধ

বিনামূল্যে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে ইন্টারনেট প্যাকেজের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি করছে এমন অজুহাতে গত মঙ্গলবার ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে বিটিআরসি। যা গতকাল বুধবার থেকে কার্যকরের নির্দেশ দেয়।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের প্রেক্ষিতে দেয়া বিটিআরসির উপ-পরিচালক সাবিনা ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী অপারেটরসমূহ তাদের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত সেবা আংশিক বা কোনো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রদান করতে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করছে। এসব ফ্রি সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কিত সেবা গ্রহণ করে কিছু অসাধু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের অপ্রয়োজনীয় অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সাইটগুলো ব্যবহারে বিনা কিংবা অল্প মূল্যে ব্যবহারের প্যাকেজ দেয় অপারেটরগুলো। বিটিআরসি’র এ নির্দেশনার পর তাদের আর সেই সুযোগ আর থাকছে না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের টপ মোবাইল অপারেটর তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছে।

রবিঃ
সম্মানিত রবি গ্রাহক, BTRC-এর সাম্প্রতিক নির্দেশনা অনুযায়ী ফেইসবুক সংশ্লিষ্ট যাবতীয় ফ্রি অফারসমূহ বন্ধ করা হয়েছে। রবির সাথে থাকার জন্য আপনাকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। ফেইসবুক প্যাক কিনতে ডায়াল করুন *4# অথবা ডাউনলোড করুন My Robi অ্যাপ।

এয়ারটেলঃ
বন্ধুদের #১ নেটওয়ার্কের সাথে থাকার জন্য তোমাদের সবাইকে ধন্যবাদ।“এয়ারটেল” রবি আজিয়াটা লিমিটেডের একটি অনুমতিপ্রাপ্ত ব্র্যান্ড ©️ সকল স্বত্ত্ব সংরক্ষিত।

এই নির্দেশ দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নিম্নে তা দেয়া হলঃ

তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সব সিম থেকে সকল ধরনের ফ্রি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক এবং অমানবিক। ডিজিটালাইজেশনের এই যুগে সবসময় ই একজন ব্যাক্তিকে কোন না কোন কারণে সোশাল মিডিয়ায় কানেক্ট থাকতে হয়। অনেকেই বলছেন মেগাবাইটের যে প্রাইস তাতে সবসময় মেগাবাইট রাখাটা দুষ্কর।

তাছাড়া করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির জন্য দেশের সব ধরনের/পেশার মানুষ ই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এটাও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।

যারা ছাত্র রয়েছে তারা বিভিন্ন স্টাডি গ্ৰুপ(মেসেঞ্জারে/ফেসবুকে) যুক্ত রয়েছে যেইখানে শুধুমাত্র পোস্ট গুলো/মেসেজ গুলো পড়লেই হতো তা ফ্রি তেই করা যেত এই সুবিধা গুলো বন্ধ হয়ে যাবে।

রক্তদাতা ম্যানেজ করার ক্ষেত্রে ফ্রি ফেসবুক এর ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। ফ্রি সার্ভিস পুনরায় বহাল রাখা প্রয়োজন। বিটিআরসি যেই যুক্তি যে অপারেটর দের অসুস্থ প্রতিযোগিতা এইটা একটা নীতিমালার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।জ

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button