স্বাস্থ্য

পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক বিজ্ঞানসম্মত কিছু অপরিহার্য টিপস

সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে পুষ্টি কর খাবার। পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য বিষয়ে সঠিক ধারনা না থাকায় আমরা অতি সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে থাকি।

স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ তুলে ধরা হলে যা মেনে চললে আপনিও হবেন সুস্বাস্থ্যের অধিকারী।

১. খাবার খাওয়ার আগে অল্প পরিমানে পানি পান করুন।পানি খাবার সব থেকে ভাল সময় হচ্ছে খাবার কমপক্ষে আধ ঘণ্টা আগে।বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে পানি পান ১-১.৫ ঘন্টার মধ্যে ২৪-৩০% বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে। প্রতিদিন ২ লিটার পান প্রায় অতিরিক্ত ৯৬ ক্যালোরি খরচ করতে সাহায্য করে। এমনকি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

২. বেশি বেশি মৌসুমি ফল ও সবজি খান।ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং সব ধরণের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো বিদ্যমান ফল ও সবজিতে। গবেষণায় দেখা যায় যারা মৌসুমি ফল ও সবজি খায় তাদের হার্ট ডিজিজ, টাইপ 2 ডায়াবেটিস, স্থূলতা এবং অনান্য রোগের ঝুঁকি কম থাকে।

৩. চিনি এবং চিনি জাতীয় খাবার পরিমান কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ুন।যখন কেউ প্রচুর পরিমাণে চিনি খায়, তখন এটি বিপাকীয় স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। খাবারের সাথে বাড়তি চিনি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার সহ, স্থুলতা,ডায়েবিটিস সহ বিভিন্ন রোগের ঝুকি বাড়ায়।

৪. বেশি বেশি মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।স্বাস্থ্যকর চর্বির যোগানে মাছ একটি স্বীকৃত উৎস। স্যামন মাছের (দেশী রুই) মত চর্বিযুক্ত মাছগুলো সবচেয়ে ভালো উৎস ।এ ধরণের মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডও আরো বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বেশি বেশি মাছ খানে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি ততই কম মাত্রায় থাকাসহ তারা হৃদরোগ, স্মৃতিভ্রম ইত্যাদি রোগ থেকে দূুরে থাকে।

৫. মাদক ও ধূমপান সেবন করবেন না। আমারা সকলেই জানি এর ক্ষতি কর প্রভাব।ধুমপান ও মাদক সেবনের বদভ্যাস প্রথমে সামাল দিন। এরপর খাদ্যাভ্যাস আর শরীর চর্চা কথা ভাবুন। এ্যালকোহল ও ধূমপানের অভ্যাস থাকলে পুরোপুরি বর্জন করুন।

তথ্যসুত্রঃইন্টারনেট

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button