অনলাইনের মাধ্যমেই সামিরা এখন আচার বুড়ি
শেষপাতে অম্ল না হলে খাওয়া নাকি ঠিকঠাক হয় না। তাই বাঙালির শেষ পাতে চাটনি বা আচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলের মৌসুমের শুরুতেই মা-ঠাকুমারা ফল কেটে রোদে শুকিয়ে তেল মশলা দিয়ে তুলে রাখে সারা বছর খাওয়ার জন্য। মাছে-ভাতে বাঙালির শেষ পাতে চাটনির প্রয়োজনীয়তা আবার অন্য রকম। গ্রামবাংলার অনেকের বলে থাকেন ‘আইষ্টা ওঠাইতে চাই টক-মিষ্টি চাটনি’।আর এই টক-মিষ্টি আচার তৈরী করে তা অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে গড়ে উঠছে নানান ধরণের সফল উদ্দ্যোক্তা।
সেই সফল উদ্দ্যোক্তারই নতুন এক মুখ বগুড়ার সামিরা। পাড়া-মহল্লায় এবং অনলাইনে সে এখন আচার বুড়ি নামেই পরিচিত। সামিরা বগুড়া সদরের বৃন্দাবন পাড়ায় ইফতেখার হোসেনের মেয়ে। গ্রাহকের ভালবাসায় তার নাম হয়ে উঠেছে আচার বুড়ি।
তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন এর মধ্যে বাসায় বসে কিছু করার ইচ্ছা জাগে তার। আর সে রান্না করতে খুব পছন্দ করে। তখন সে আচার তৈরী করার সিদ্ধান্ত নেই এবং বিষয়টি পরিবারের সাথে পরামর্শ করে। তার মায়ের সার্বিক সহযোগিতা ও তার বাবা-ভাই এবং আত্নীয়-স্বজনের অনুপ্রেরণায় কাশ্মীরি আচার, মাংসের আচার, গ্রীন ম্যাংগো স্লাইস আচার, রসুনের আচার, বিভিন্ন স্বাদের আমসত্ত্ব, জেলী সহ সব ধরনের সিজনাল আচার সে ডেলিভারী দেয়া শুরু করে। আস্তে আস্তে গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং সামিরার নাম হয়ে উঠে আচার বুড়ি।
সামিরা বগুড়া লাইভকে জানান, বর্তমানে তার ফেসবুকে একটি পেইজ আছে যার নাম “ছায়াবৃক্ষ”। এই পেইজ থেকেই তার বানানো হরেক রকমের আচারের অর্ডার করা যায়।
গত এক মাসে সে রাজধানী সহ ১৮ টি জেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন রকমের আচার ডেলিভারি দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে।
ফেসবুক পেজে তার তৈরী আচারের সুন্দর রিভিউ এবং অর্ডারের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।
সামিরার মতো উদ্দ্যোক্তাতারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে এমন প্রত্যাশায় সবার।