শেরপুরে আব্দুর রশিদ হত্যার ঘটনায় পিতা ও ভাই সহ ৬ জন আটক
বগুড়ার শেরপুরে আব্দুর রশিদ (৪৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার পিতা ও ভাই সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জমিজমাসহ ভিটা মাটির ভাগ বাটোয়ারা ও পারিবারিক কলহের জের ধরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে মামলা তদন্তকালে জানতে পারে পুলিশ।
আটককৃতদের বুধবার (২৯ জুলাই) আদালতে সোপর্দ করেছে।
আটককৃতরা হলেন, নিহত আব্দুর রশিদের ছোট ভাই মো: বাবলু মিয়া (৩২) পিতা মো: ময়েজ উদ্দিন (৭০), পারভবানীপুর গ্রামের আ: রশিদের ছেলে আ: বারেক (৩০), ঘোরদৌড় গ্রামের মৃত কাদের বক্স মুন্সির ছেলে মো: ইয়াছিন আলী মুন্সি (৫৪), আবুল হোসেনের ছেলে মো: হাফিজার রহমান (৫০) ও মো: আফজাল হোসেন (৫৬)।
শেরপুর থানা পুলিশ জানায়: শেরপুর উপজেলার ঘোরদৌড় নতুন পাড়া গ্রামের জনৈক ময়েজ উদ্দিন এর বড় ছেলে আব্দুর রশিদের (৪৫) লাশ বিলের একটি ডোবায় পাওয়া গেলে শেরপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের হলে পুলিশ নিবিড় তদন্ত শুরু করে। তদন্তকালে মৃতের পরিবারের লোকজন সহ উক্ত এলাকার সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করেন পুলিশ। বগুড়া পুলিশ সুপার মো: আলী আশরাফ ভূঞা-বিপিএম বার প্রত্যক্ষ তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর করেন।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন আলী মুন্সি ২৮ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। সে সূত্র ধরে অন্যান্যদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃতদের মাঝে ১ জন আসামী ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। বর্তমানে মৃত আব্দুর রশিদের ছোট ভাই মো: বাবলু মিয়া (৩২) ও মৃতের পিতা মো: ময়েজ উদ্দিন (৭০) উভয়ে দুই দিনের পুলিশ রিমান্ডে থানা হেফাজতে নিবির জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়া আব্দুল বারেককে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড প্রার্থনা করা হলে আজ ২৯ জুলাই বিজ্ঞ আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে।