নেত্রকোনার হাওরে ট্রলার ডুবি ১৭ জন মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে খ্যাত উচিৎপুরের হাওরে ঘুরতে এসে বুধবার দুপুরে রাজালীকান্দা হাওরে ট্রলার ডুবে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিহতরা ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বলে জানা গেছে। বুধবার বেলা ১২টার দিকের এ ঘটনায় এখনো বেশ কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার চরসিরতা ইউনিয়নের চর ভবানীপুর গ্রামের মাকসুদা সুন্নাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার ৪৮ জন ছাত্র-শিক্ষক বুধবার সকালে নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত উচিতপুর হাওর এলাকায় আনন্দ ভ্রমণে আসে। তারা একটি ট্রলারে করে উচিতপুর ঘাট থেকে গোবিন্দশ্রীর দিকে যাচ্ছিল। প্রবল বাতাসের কারণে হাওরে বড় বড় ঢেউ উঠায় ট্রলারটি রাজালীকান্দা নামক স্থানে হঠাৎ কাৎ হয়ে ডুবে যায়। এ দৃশ্য দেখে আশপাশের নৌকা নিয়ে মাছ ধরার লোকজন দ্রুুত এগিয়ে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। ট্রলারের বেশীর ভাগ যাত্রী সাঁতরিয়ে আশপাশের নৌকায় উঠতে সক্ষম হলেও ১৭ জন হাওরের পানিতে তলিয়ে যায়। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ও পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই কন্যা শিশুসহ ১৭ জন মাদ্রাসাা ছাত্র শিক্ষকের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রমিজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ তালুকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, রাজালীকান্দা হাওরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বিকাল ৪টা পর্যন্ত দুই শিশু কন্যা সহ ১৭ জন মাদ্রাসা ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও একজন নিখোজ রয়েছে।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম জানান, মৃতদের লাশ বাড়ীতে নেয়া ও দাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের পরিবারকে তাৎক্ষনিক ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।