এবছর বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় ক্ষতি হয়েছে আউশ ও আমন ধানের
সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবছর এ পর্যন্ত বন্যায় ৩৮টি জেলার ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর জমির ১৪টি ফসল আক্রান্ত হয়েছে এবং বন্যা দীর্ঘায়িত হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে আউশ-আমন ধান।সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের বন্যায়। এই ধাপে বোনা আমন ধানের ৫৬ হাজার ৩৬২ হেক্টর ও রোপা আমন ধানের ৮ হাজার ৭৫৪ হেক্টর জমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩৫ হাজার ৮২১ হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছাড়াও ২৬ হাজার ৯১৫ হেক্টর জমির পাট, ১১ হাজার ৮২১ হেক্টর জমির গ্রীষ্মকালীন সবজি, ১ হাজার ৪৯৭ হেক্টর জমির ভুট্টা, ১ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির তিল, ১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমির আখসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রথম ধাপের বন্যায় টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩৪৯ কোটি টাকা। মোট ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার জন। দ্বিতীয় ধাপে ৩৮টি জেলার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা না হলেও ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে জানায় কৃষি মন্ত্রনালয়।
মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে এবার কৃষক সবজি আবাদে ধরা খেয়েছ, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা, আবার এর মধ্যে বন্যার ধাক্কা কৃষকের জন্য সামাল দেওয়া খুবি কঠিন।
মাঠে থাকা আউশ ধানের অনেক জমি বন্যায় ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি নষ্ট হয়ে গেছে আমনের বীজতলা। কারণ আমনের চারা ও আউশ তিন থেকে পাঁচ দিনের বেশি পানির নিচে থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ ৯৩৮ হেক্টর জমির আউশ ও আমনের ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে করা আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চরম অনিশ্চয়তায় আছে,বন্যার পানি নেমে গেলে জরুরি ভিত্তিতে কৃষি পুনর্বাসন ও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ করা হবে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে আমনের চারা বিতরণ করা হবে এবং আমন চাষ সম্ভব না হলে ৫০ হাজার কৃষকের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার মাসকলাই বীজ ও সার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডিএই।