করোনার পর প্রথমে খুলবে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়
করোনা পরবর্তী সময়ে প্রথম ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সব শেষে খুলে দেওয়া হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সারা বিশ্বের সাথে সাথে দেশেও করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে সরকার সবার আগে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করা হয় সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফা বাড়িয়ে সেই ছুটি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।
নির্ভর যোগ্য সুত্রে জানা যায় পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হতে পারে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং সবার শেষে খোলা হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়।শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে দুই ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে চলতি বছরের মধ্যেই সিলেবাস কমিয়ে শিক্ষাবর্ষ শেষ করা হবে। তা সম্ভব না হলে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। ওদিকে সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসলেও খোলা যাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কারণ অভিভাবকরা সন্তানের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তিত। করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কারা সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে অনিচ্ছুক। তা ছাড়া বেশকিছু দেশ একবার স্কুল খুলে দিলেও পরে আবার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। ফলে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে একটু দেরিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায় এইচএসসি পরীক্ষা নিতে হলে কমপক্ষে ১৫ দিন ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের চলাফেরা বাড়বে। এতে ভীতি থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন করোনা থাকলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে।শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করতে পারলেও গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে। এতে শিক্ষায় বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। সব মিলে করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীই নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তাই সবকিছু বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি পোষাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচ মিনিট টোল ফ্রি পরামর্শও চালু করা হচ্ছে বলে এক দৈনিক পত্রিকা কে জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃআকরাম-আল-হোসেন।