সাগরের তলদেশে ক্যাবল কাটা পড়ায় কমে গেছে ইন্টারনেটের গতি
রোববার দুপুর ১২টার দিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সমুদ্রের তলদেশে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোকে সংযোগকারী সাবমেরিন ক্যাবল ‘সিমিউই-৫’ কাটা পড়ে। এতে ইন্টারনেটের গতি অর্ধেক কমেছে বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন।
এদিকে, ইন্টারনেটের গতি অর্ধেকে নেমে আসায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। কাজে স্থবিরতা নেমে আসে ব্যাংক, বিমা ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে।
ত্রুটি সারিয়ে তুলতে কাজ করছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। সন্ধ্যার মধ্যে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘মূল ক্যাবল নয়, পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়েছে। ফলে রিপিটারে বিদ্যুৎ যাচ্ছে না। এজন্য ব্যান্ডউইথ পেতে সমস্যা হচ্ছে। সাবমেরিন ক্যাবল ১ ও আইটিসি দিয়ে আমরা কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। ধীরগতি ভর করেছে ইন্টারনেটে।’ তিনি জানান, ৪০-৫০ শতাংশ গতি কমে গেছে।
জানা গেছে, ল্যান্ডিং স্টেশন এলাকায় খারাপ আবহাওয়া থাকায় পাওয়ার ক্যাবল মেরামতে সময় লাগছে। আজকের মধ্যেই মেরামত সম্পন্ন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) প্রতিষ্ঠান লেভেল-থ্রি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুনায়েদ আহমেদ বলেন,`পাওয়ার ক্যাবল কাটার পরপরই আমরা জানতে পারি। আমাদের জানানো হয়,৭ ঘণ্টার মধ্যে (সন্ধ্যা ৬টা) মেরামত কাজ সম্পন্ন হবে।‘ তিনি আরও বলেন, `আমরা জেনেছি কুয়াকাটা এলাকায় খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করায় পাওয়ার ক্যাবল মেরামতে দেরি হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গতিবিষয়ক সমস্যায় পড়েছেন।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ১ হাজার ৭৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এর অর্ধেকের বেশি আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে।