ধুনটে ধর্ষকের জিম্মিদশা থেকে ছাত্রী উদ্ধার, ধর্ষক গ্রেফতার

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরণের পর সাড়ে চার মাস জিম্মি রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মামলার প্রধান আসামী রেজাউল করিমকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেজাউল করিম উপজেলার শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের রহিম বক্সের ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে সোমবার মধ্যরাতে গাজিপুরের কালিয়াকৌর উপজেলার রুপনগর এলাকার একটি বাসা থেকে রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার জিম্মিদশা থেকে অপহরণের পর ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উদ্ধারকৃত স্কুলছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অপহরহণের পর ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী উপজেলার বিশ্বহরিগাছা গ্রামের এক ব্যবসায়ীর মেয়ে। মেয়েটি স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পাশ করেছে। দুই সস্তানের জনক রেজাউল করমি বিশ্বহরিগাছা গ্রামে তার বন্ধু সুজন মিয়ার মাধ্যমে স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্ত রেজাউল করিমের প্রেমে সাড়া দেয়নি স্কুলছাত্রী। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২৬ মার্চ বিকেলের দিকে মেয়েটির বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে রেজাউল করিম তার বন্ধু সুজনের সহযোগীতায় মেয়েটিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে অপহণ করে। এরপর মেয়েটিকে নিয়ে গাজিপুরের কালিয়াকৌর উপজেলার রুপনগর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় স্কুলছাত্রীকে জিম্মি রেখে ধর্ষণ করে রেজাউল করিম।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ২৭ মার্চ ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রেজাউল কমির ও তার সহযোগী সুজন মিয়াকে আসামী করা হয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্ধু বালা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকৃত ছাত্রীর জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য বগুড়া আদালতে এবং মামলার প্রধান আসামী রেজাউল করিমকে কারাগারে পাঠনো হয়েছে।