করোনা পরিস্থিতিতে রাজধানী ছেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ
দেশের সনামধন্য দুটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এক যৌথ জরিপে দাবি করেন বাড়িভাড়া, চিকিৎসা খরচ, যাতায়াতের ব্যয় এবং অন্য নানামুখী ব্যয় মেটাতে না পেরেই প্রায় ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) তাদের যৌথ অনলাইন ব্রিফিং এ বলেন ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে পরিচালিত গবেষণায় দেখা যায় জুনে এসে অতি দরিদ্র মানুষের আয় কমেছে ৩৪ শতাংশ। এতে অতি দরিদ্ররা আরো দরিদ্র হয়ে পড়েছেন।সারা দেশে ৭ হাজার ৬৩৮ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে জানা যায় দেশে এই সময়ে ১৭ শতাংশ মানুষ বেকার হয়েছেন এবং ৭ শতাংশ মানুষ পেশা পরিবর্তন করেছেন।সবচেয়ে বেশি বেকার হয়েছেন নারী, অদক্ষ শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আর গৃহকর্মী নারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বেকার হয়েছেন।
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন করোনা মহামারী তে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ সরকারি সহায়তা পেয়েছে। এই ১৫ শতাংশ সবাই আবার সাহায্য পাওয়ার যোগ্য ছিল না। বেঁচে থাকার তাগিদে মানুষ এখনো বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে বের হচ্ছেন, এর কোনো বিকল্প নেই।
অন্যদিকে বিআইজিডি এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন ‘লাইভলিহুড, কোপিং অ্যান্ড রিকভারি ডিউরিং কোভিড-১৯’ শীর্ষক জরিপের ফল তুলে ধরার সময় বলেন করোনার শুরুতে গত এপ্রিল মাসে দেশে দারিদ্র্যের হার ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশ হলেও জুন মাসে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশে। জুন মাসে লকডাউন কিছুটা শিথিল থাকায় এপ্রিলের তুলনায় দারিদ্র্য ১ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি আয় কমেছে রিকশাচালকদের।