জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বগুড়ায় তাঁতী লীগের স্মরণ সভা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎ বার্ষিকী, বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারে নিহতদের স্মরণে ও ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে বগুড়ায় স্মরণ সভা ও গরীব এবং দু:স্থ্যদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের টেম্পল রোড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বগুড়া জেলা তাঁতী লীগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক নুরুজ্জামান সোহেলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রাশেকুজ্জামান রাজনের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু।
এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের দিন ১৫আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত অধ্যায় সংযোজিত হয়েছিল। সেদিন ঘাতকেরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল সহ আরো অনেকে। এরপর ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের এক জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালায়। যে হামলায় ২৪ জন নিহত হয় এবং তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হয়। এই হামলায় নিহতদের মধ্যে আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নারী নেত্রী মিসেস আইভি রহমান অন্যতম।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সহ সপরিবারের হত্যা করার পর আওয়ামী লীগ কে নিশ্চিহৃ করার জন্য এই গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত নৃশংস সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে ২১শে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা তার একটি। ঐ ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি এই হামলা জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে জোর শাস্তির দাবী জানান। তিনি আগস্ট মাসে এরকম একটি মহতী উদ্যোগে নেয়ার জন্য তাঁতী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু প্রদীপ কুমার, সাবেক উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আল-রাজি জুয়েল, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশিষ পোদ্দার লিটন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈমুর রাজ্জাক তিতাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি গোলাম হোসেন, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, জেলা যুবলীগ নেতা রাছেদুজ্জামান রাছেল, সরকারি আজিজুল হক কলেজের সাবেক আহবায়ক মাহমুদুন্নাবী রাসেল, জেলা ছাত্রলীগ নেতা তাকবির, সজীব সাহ, জেলা তাঁতী লীগ নেতা নাদিম, সেলিম, মইদুল, আপেল, উজ্জাল, খাব্বার হোসেন চম্পক ও মাসুদ সহ প্রমূখ।