সারাদিন ভালো কাটাতে দিন শুরুর ৪টি কাজ
ঘরে বসে অফিসের কাজ করার এ সময়টাতে অনেকগুলি জিনিস নিয়েই স্ট্রেসে পড়তে পারেন। অফিসে থাকলে শৃঙ্খলার কারণে যে কাজগুলি করা যায়, বাসায় হয় ঠিক তার উল্টা। কিন্তু তাই বলে সেই কাজ তো আর ফেলে রাখা যায় না। এই সমস্যাগুলি কাটাতে কয়েকটা ছোট বিষয় মাথায় রাখতে পারেন, তাহলে হোম অফিস আগের থেকে সহজ মনে হবে।
#১. ইট দ্য ফ্রগ
মার্ক টোয়েন বলেছেন, আপনি যদি সকালে উঠেই সবার আগে একটা জ্যান্ত ব্যাঙ খেয়ে ফেলেন, তাহলে সারাদিন আর এর চেয়ে বাজে কিছু করতে হবে না।
এর অর্থ হচ্ছে হাতে থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা সবার আগে করে ফেলতে হবে। তারপর একে একে কম গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি করবেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালবেলা ইচ্ছাশক্তি সবচেয়ে প্রবল থাকে, সেটাকেই কাজে লাগিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সবার আগে করে ফেলুন।
#২. রেড ফ্ল্যাগস
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন সকাল বেলাটা সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল চেক করা ও এ ধরনের কাজে ব্যয় না করতে। কারণ এতে আপনার সকালবেলার উদ্যম ও ইচ্ছাশক্তি কম গুরুত্বপূর্ণ কাজে নষ্ট হয়ে যাবে। পরে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করতে গেলে অ্যানার্জি বা মানসিক শক্তি কোনোটাই থাকবে না।
সকালবেলায় অন্যদের কী প্রয়োজন আপনার কাছে সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে আপনার কী কী কাজ করতে হবে তাতে মনোযোগ দিন। ইমেইল একান্তই চেক করতে হলে স্ক্যান করে দেখুন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইমেইল আছে কিনা। না থাকলে কাজ শুরু করে দিন।
‘নেভার চেক ইওর ইমেইল ইন দ্য মর্নিং’ বই এর লেখক বলেন, “এই অন্তহীন অনুরোধ, বাধাবিঘ্ন, অপ্রত্যাশিত ঘটনা, রিমাইন্ডার আর সমস্যার মধ্যে এমন জিনিস খুব কমই থাকে যা কমপক্ষে এক ঘণ্টার মধ্যে করার দরকার পড়বে।”
#৩. টু-ডু লিস্ট
টু-ডু লিস্ট তৈরি করা অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে, কিন্তু এটা প্রতিদিনকার লক্ষ্য পূরণের ক্ষেত্রে কম্পাসের মতো কাজ করবে।
তবে, কোন কাজকে বেশি গুরুত্ব দেবেন সেটা বুঝবেন কীভাবে?
টাইম ম্যানেজমেন্ট ও প্রোডাক্টিভিটি এক্সপার্ট লরা ভান্ডারকাম এর পরামর্শ, নিজেকে এই ৫টি প্রশ্ন করুন:
এই কাজের মাধ্যমে কি বড় কোনো প্রফেশনাল লক্ষ্যের দিকে আগাতে পারব?
বস কি এই কাজটিকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন?
এই কাজের মাধ্যমে কি আমার উপার্জন বাড়বে?
আমার মানসিক চাপ কমবে এতে?
কাজটা কি আজকেই করতে হবে?
লিস্ট সাজানো হয়ে গেলে, দরকার এবং গুরুত্ব অনুসারে কাজ ভাগে করে করা শুরু করে দিন৷
#৪. টিমের সাথে যোগাযোগ
এটা ছোট কিন্তু কার্যকরী। সকালে কলিগদের সাথে কুশল বিনিময় করুন কাজ শুরুর আগে। এতে শুধু যে আপনার দিনের শুরুটা ভালো হবে তা না, পরবর্তীতে যেকোনো প্রয়োজনে আপনি কলিগদের সাহায্য পাবেন।