সুষম খাবার আর ব্যায়াম: ওয়ার্কিং উইমেনদের জন্য ৭টি ফিটনেস টিপস
পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র দুটো একসাথে সামলে হেলদি ডায়েট মেনে চলাটা আসলে কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এক্সপার্টদের মতে, শুধু ভালো খাবার খেলেই হেলদি থাকা যায় না, এর সাথে আরো দরকার পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম।
#১. প্রতিদিনকার সাধারণ কাজগুলির সাথে ব্যায়াম যুক্ত করুন
অফিসে কাজ করলে যে অ্যাক্টিভ থাকা যাবে না তা কিন্তু নয়। দৈনন্দিন কাজের মাঝে কিছু সিম্পল এক্সারসাইজ যোগ করে নিন। যেমন, ফোনে কথা বলার সময় ডেস্কে বসে না থেকে দাঁড়িয়ে কথা বলুন। ভালো হয় যদি হেঁটে হেঁটে কথা বলেন। আবার লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করলেন।
#২. লাঞ্চের সময় অবশ্যই একটু হাঁটাহাঁটি করুন
দুপুরবেলার ঘুম ঘুম ভাব দূর করতে লাঞ্চের সময়টাতে একটু হেঁটে নিন। কাজে ফোকাস করার জন্য দেখবেন আবার অ্যানার্জি ফিরে পাচ্ছেন। এতে কাজের প্রতি যেমন উৎসাহ ফিরে আসে তেমনি স্ট্রেস সামলাতেও তেমন বেগ পেতে হয় না।
#৩. খাবারে মনোযোগ দিন
খাবার খাওয়ায় মনোযোগী হওয়ার অর্থ হলো এমন খাবার বাছাই করা যা আপনাকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি দেবে। প্রতিদিন ঠিকমতো খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং হেলদি ডায়েটের জন্য কয়েকটি সিম্পল নিয়ম মেনে চলুন। মিল ও স্ন্যাকসে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল রাখুন। যথেষ্ট প্রোটিন রাখুন। মিষ্টি ও চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
#৪. নিজেকে চ্যালেঞ্জ দিন
সবার হয়ত জিমে যাওয়ার, প্রতিদিন বাইরে হাঁটা বা পার্কে দৌড়ানোর সুযোগ থাকে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। আপনি চাইলে বাসার ভেতরেরই এক্সারসাইজের বিভিন্ন ফর্ম প্র্যাকটিস করতে পারবেন। যেমন, সিঁড়ি ব্যবহার করেই অনেক ধরনের এক্সারসাইজ করা যায়, ইউটিউবে প্রচুর ভিডিও পাবেন প্রফেশনালদের। সেগুলো নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করলেই বুঝতে পারবেন আপনার সাথে কোনগুলি যাবে, কোন এক্সারসাইজগুলি করতে আপনাকে আরো ফ্লেক্সিবল হতে হবে। এই বিষয়গুলি দেখে, বুঝে একটা প্ল্যান সেট করুন আর নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন সেই এক্সারসাইজ গোল পূরণের।
#৫. অনলাইনে জয়েন করুন
২০১৬ সালে টেক ফিট ইন্ডাস্ট্রি (ইন্ডাস্ট্রি অফ ফিটনেস টেকনোলজি) অন্যরকম উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এখন চাইলে বাসায় বসেই বিদেশী ফিটনেস স্টারের গাইডেন্স পেতে পারবেন বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে। লাইভ স্ট্রিমিং-এ উপস্থিত থেকে পাসপোর্ট ছাড়াই ঘুরে আসতে পারবেন যেকোনো ফিটনেস ক্লাস থেকে, তাই আ্যটেন্ড করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান এখনই। সেজন্য আপনার দরকার হবে একটা স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট। এই ঝামেলাটুকুও না করতে চাইলে ইউটিউব দেখেই এক্সারসাইজ করতে পারবেন।
#৬. ব্যালেন্সড থাকুন
ফিটনেসে ফোকাস করার মানে হলো সবদিক দিয়ে নিজের ভালো থাকার খেয়াল রাখা। চট করে ফিটনেস প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে গেলেই যে আপনি নিজেকে ফিট রাখতে পারবেন তা কিন্তু না। ডায়েটের দিকেও আপনাকে সমান মনোযোগী হতে হবে। বরং একটি ব্যালেন্সড রুটিন তৈরি করুন যেটাতে থাকবে কিছু প্রচলিত এক্সারসাইজ আর হেলদি ডায়েট।
#৭. বৈচিত্র্য আনুন
একইরকম এক্সারসাইজে আপনি বিরক্ত হয়ে যেতে পারেন। তখন হয়ত আর এক্সারসাইজই করতে ইচ্ছা করবে না। এই সমস্যায় যাতে না পড়তে হয়, সেজন্য আগে থেকেই এক্সারসাইজের বিভিন্ন ভ্যারিয়েশন, স্টাইল আর ফিউশনগুলি নিয়ে অনলাইনে রিসার্চ করুন।
আপনি কি বাসায় এক্সারসাইজ করেন? করলে, কী কী ধরনের এক্সারসাইজ করেন? আপনার সবচেয়ে পছন্দের এক্সারসাইজ কোনটি?