কাহালুতে কলেজ ছাত্র আরমান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন
বগুড়ার কাহালুতে কলেজ ছাত্র আরমান হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে কাহালু থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ওবায়দুল খানের স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমের কারণে পরিকল্পিতভাবে আরমানকে হত্যার পর তার লাশ পুকুর পাড়ে মাটির নীচে পুঁতে রাখে খুনীরা।
মঙ্গলবার আরমান হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ওবায়দুল খান আদালতে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এর আগে গত ৭ সেপ্টেমর ওবায়দুল ও তার সহযোগী সুজনকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করেছিল কাহালু থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাহালু থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই শাহিন কাদির জানান, শুধু পরকীয়া না এই হত্যাকান্ডের সাথে আরোও অন্য কোন ঘটনা রয়েছে তা বিষদভাবে জানার জন্য মূল হত্যাকারী ওয়াদুলের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আজ (৮ সেপ্টেম্বর) শুনানী শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেছে আদালত। আরও পড়ুন বগুড়ার কাহালুতে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ওবায়দুল তার জবানবন্দীতে বলেছে, তার স্ত্রীর সাথে আরমানের পরকীয়া ছিলো। এই ঘটনায় ক্ষুব্দ হয়ে তিনি তার পুকুরের পাহাদার সুজনকে দিয়ে আরমানকে পুকুর পাড়ে ডেকে আনে। সেখানে ওয়াদুল ও তার আরো কয়েকজন সহযোগী মিলে আরমানকে মারপিট করার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ স্থানীয় কবরস্থানের দেওয়াল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে পুঁতে রাখে।