গুরুত্বপূর্ণ ১০টি বিষয়: সব নারীরই জানা থাকা দরকার
জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করাই কঠিন। কেউ রাতারাতি সফল হয় না। তবে পরের বছর নিজের মধ্যে যে পরিবর্তনগুলি আনতে চান, নিজেকে যেমন দেখতে চান, যে কাজগুলি করার জন্য সময় বের করতে চান, এর জন্য যে জিনিসগুলি আপনার মেনে চলা উচিত বলে মনে করেন সব কিছু রুটিন করে করতে শুরু করে দিতে পারেন।
#১. প্রতিটি পদক্ষেপ দেয়ালে থাকা একেকটি ইটের মত
মনে রাখা দরকার, আপনার প্রতিটি কাজই আগামি দিনের জন্য বিনিয়োগের মত। প্রতিটি পদক্ষেপে করা কাজ নির্ধারণ করবে আপনার দিনটি কীভাবে যাবে। শুধু তাই না, আপনার সম্পর্কে মানুষের মনোভাব কেমন হবে তাও আপনার কাজের ওপরই নির্ভর করে।
#২. চারপাশ থেকে যা নেন, তাই আপনি
আপনি যে বই পড়েন, টিভিতে যে অনুষ্ঠান দেখেন, যেমন খাবার খান সেসব কিছু মিলিয়ে আপনি। ওগুলির প্রভাবই পড়ে আপনার মন, আচরণ এবং কাজের ওপর। তাই যদি দেখেন কখনো নিজেকে দুর্বল বা হতাশ লাগছে, সবার আগে ভাববেন এর পেছনে কারণ কী হতে পারে। আপনি কোন জিনিটাতে মনোযোগ দিচ্ছেন ইদানিং। ভেবে বের করতে পারলে তা থেকে নিজেকে সরিয়ে আনতে পারবেন।
#৩. সবচেয়ে মূল্যবান সম্পর্কটা হলো নিজের সাথে নিজের সম্পর্ক
এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো সম্পর্ক বা বন্ধুত্বের জন্য কখনোই নিজের সাফল্য, উন্নতি বাদ দেবেন না। আপনি মানুষ হিসেবে যেমন, সম্পর্ক রক্ষার্থে সেটা কম্প্রোমাইজ করবেন না। মনে রাখবেন মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে চলা আর মানুষের সঙ্গে চলতে গিয়ে নিজেকে দমিয়ে ফেলা এক জিনিস নয়। আপনার পজেটিভ দিকগুলি নিয়ে সবসময় ভাবুন।
#৪. প্ল্যান করতে ব্যর্থ হওয়া মানে ব্যর্থ হওয়ার প্ল্যান করা
যেকোনো কাজে সফল হওয়ার মূল মন্ত্র হলো সঠিক পরিকল্পনা করে অগ্রসর হওয়া। সামনের বছরটা যদি জীবনের অন্যতম ভালো একটা বছর হিসেবে কাটাতে চান তাহলে এখন থেকেই প্ল্যানিং করুন। ভাবুন আপনি নিজেকে কোথায় নিয়ে যেতে চান। আগামি এক মাসে, এর পরের পাঁচ মাসে, আট মাসে নিজের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে তার একটি খসড়া প্ল্যান করে রাখুন এবং ধাপে ধাপে সেটা অনুসারে কাজ করুন।
#৫. কাজের প্রতি ভয় থেকেই আলসেমি আসে
আজকে না কালকে করবো, পরশু করবো… এরকম অলসতা আমরা প্রায় সময়ই করি। পরে অবশ্য এতে বিরক্ত হই, কিন্তু কাজটা আর সঠিক সময়ে করা হয় না। এর মূল কারণ ভীতি। প্রথমত আপনি কাজটা করতে পারবেন না ভেবে আর দ্বিতীয়ত অনেক পরিশ্রম করতে হবে ভেবে হাল ছেড়ে দেন। তা করা যাবে। সফল হতে চাইলে অ্যাকটিভ হতে হবে এবং সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
#৬. নিজের প্রতি যত্নশীল হোন
পারিপার্শ্বিক সবকিছুর দিকে খেয়াল রাখার সাথে সাথে নিজের দিকেও খেয়াল রাখুন। নিজেকে আপনি কীভাবে ট্রিট করেন? নিয়মিত এক্সারসাইজ করছেন? স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন? এই ছোট ছোট বিষয়গুলি আপনার আগ্রহ ও মানসিকতা বদলে দিতে পারে। তখন অনেক কনফিডেন্ট লাগবে নিজেকে এবং নিজের সবচেয়ে ভালো রূপটির প্রকাশ ঘটবে।
#৭. সফল হওয়ার কোনো শর্টকাট নেই
শর্টকাটে ধনী হয়ে যাবেন বা যেকোনো কিছু চাইবা মাত্রই পেয়ে যাবেন এমন চিন্তা করা সময়ের অপচয় ছাড়া কিছুই না। রাতারাতি সফল হওয়া বলতে কিছু নেই, এটা কেবল লটারি জিতলেই সম্ভব। সবকিছুর জন্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে ধৈর্য্য নিয়ে লেগে থাকতে হবে। ভুল করলে হতাশ হওয়া যাবে না। মানুষের কথায় কান দেয়া যাবে না।
#৮. নিজের সম্মান অনেক বড় বিষয়
নিজের সম্মান রক্ষা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির একটি। সচেতন থাকবেন যেন কেউ আপনার সম্মানহানি না করতে পারে। আপনার আত্মসম্মানই আপনার হয়ে কথা বলবে এবং পরবর্তীতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান তাও এর দ্বারা প্রভাবিত হবে।
#৯. রিস্ক মানে অর্জন
জটিল সব পরিস্থিতি সামাল দিতে এবং ভয় দূর করে আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে রিস্ক নিতে হবে। সফল হতে কম্ফোর্ট জোন থেকে বাইরে বের হন। যত বেশি রিস্ক নেওয়া শিখবেন কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা ততই বৃদ্ধি পাবে। আত্মবিশ্বাসের কারণে অনেক পজেটিভ জিনিস সহজে করতে পারবেন যেটা হয়ত আগে পারতেন না।
#১০ কেউ না কেউ ঠিকই আপনার পথে আগাচ্ছে
একটা কথা প্রচলিত আছে যে পাহাড়ে ওঠা কঠিন কিছু না কিন্তু ওঠার সময় সবার ওপরে থাকাটা কঠিন। সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে অন্য কেউ আপনার মতই সফল হওয়ার জন্য পরিশ্রম করছে। আপনার কাজের জায়গায় যদি নিজস্বতা না আনতে পারেন তবে তাদের সঙ্গে আপনাকে মিলিয়ে দেখার আশঙ্কা দেখা দিবে। আর আপনিও জায়গা তৈরি করতে পারবেন না। তাই আপনার স্পেশালিটি কী, আপনার কাজ কোন দিক থেকে সবার চেয়ে আলাদা তা বোঝার চেষ্টা করুন।
cityalo