বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের সাবেক দুই ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগের ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন গঠিত কমিটি সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বরখাস্তের সুপারিশ করেছে।
এর আগে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মোত্তালিবকে সাময়িক বরখাস্ত করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন- বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এবং ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব। এ সংক্রাস্ত গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুম আলী বেগ শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল মোত্তালিবের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে ২ ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন। ২৮ আগষ্ট এই স্টাটাস দিলে ওই দিনই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পরেরদিন প্রতিষ্ঠানের গর্ভনিং বর্ডির এক সভায় ওই দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমান এবং বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিকে ওই প্রতিষ্টানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ওই দুই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এবং অধ্যক্ষ’র নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বগুড়া বিয়াম মডেল স্কুল ও কলেজের সাবেক এক ছাত্রী ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবদুল মোত্তালিবের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এতে তিনি গত ২১ আগস্ট রাতে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অশ্লীল প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ করেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে শিক্ষক ফোনে হুমকি ও অশ্লীল ছবি বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া ও বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতি হবে বলেও ভয় দেখান।
অপরদিকে একই কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে নিজের বাসায় নেয়ার জন্য টানা হেচড়া করার অভিযোগ করা হয়। পরে এ নিয়ে গত জানুয়ারি মাসে অভিযোগ দিলে বিচারের বদলে অভিযুক্ত শিক্ষক নানাভাবে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার পরই কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ২৯ আগস্ট রাতে জরুরি সভা করে এ দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।