নিয়ম শিথিল করার ফলে ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে

একবার সুস্হ হয়ে উঠলে দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হবেন না। তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই তথ্য আগেই দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্হ্য সংস্হা হু। কিন্তু সে সব আর কে শোনে।
শুরুর দিকে ইউরোপে করোনায় বাড়বাড়ন্ত বেশি থাকলেও পরের দিকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সম্প্রতি তা আরও বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এর জন্য ইউরোপের মানুষদের বেপোরোয়া মনোভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংক্রমণ কমতেই ইউরোপে বিধি-নিষেধ শিথিল করে দেয় সরকার। শুরু হয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্যও। স্কুল-কলেজের পর একে একে পর্যটন কেন্দ্রগুলিও খুলে যায়। মানুষকে আকৃষ্ট করতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ আবার বিশেষ ছাড়ও দিতে শুরু করে।
সামাজিক দূরত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিচ-পার্টি, পাবে ভিড়। মোটামুটি সবকিছুই শুরু হয়ে যায়। আর তার ফলস্বরূপ ব্রিটেন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার মানুষের করোনা আক্রান্তের খবর মিলছে। যদিও তা ভারতের থেকে অনেক কম। তবে ভারতের থেকে জনসংখ্যাও ওই সব দেশে অনেক কম।
এমন পরিস্হিতিতে ব্রিটেনে বরিস জনসনের সরকার ঘোষণা করেছে, কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তাঁকে ও তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছে, তাদের আইসোলেশনে থাকতে হবে। নিয়ম না মানলে বড় অঙ্কের টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর কোনও গরিব ব্যক্তি ঘরবন্দি হয়ে পড়লে সরকার থেকে ৫০০ পাউন্ড অর্থসাহায্য করা হবে।
ফ্রান্স, স্পেনের মতো দেশেও এইসব কারণেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। হু-এর ইউরোপ শাখার প্রধান হান্স ক্লুগ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরস্হিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসতেই, সংক্রমণ রুখতে যেসব নিয়ম জারি হয়েছিল, তা শিথিল করে দেয় সরকার। আর এই কারণেই সংক্রমণ আবার বাড়ছে।’