‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দেয়’
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ভুক্তভোগী নারী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ভুক্তভোগী ওই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন এবং নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করেন আসামিরা। গত এক মাস ধরে আসামিরা এই ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে তাকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন। তিনি কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা রোববার ফেসবুকে ভিডিওটি ছেড়ে দেন।
ওই নারী রোববার বেগমগঞ্জ থানায় দুটি মামলা করেন। একটি মামলা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে, অন্যটি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে। দুই মামলাতেই নয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার রাতে প্রধান আসামি বাদলসহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় চার আসামি গ্রেপ্তার হলো।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ঢাকা থেকে এবং দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। স্বামী তাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করতে থাকে। দীর্ঘদিন স্বামীর কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে স্বামী তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। মাদক ব্যবসায়ী দেলোয়ার বিষয়টি জানতে পেরে তার লোকজন নিয়ে রাত ১০টার দিকে গৃহবধূর ঘরে প্রবেশ করে ‘অনৈতিক’ কাজের অভিযোগ এনে তাকে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, ন্যক্কারজনক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যতই ক্ষমতাধর হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।