“করোনার দিন প্রায় শেষ” ” এখন ধর্ষনে ঘেরা বাংলাদেশ”
ধর্ষন ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে সারাদেশের ন্যায় বগুড়ায় শত শত শিক্ষার্থী এক যোগে মাঠে। “করোনার দিন প্রায় শেষ”
” এখন ধর্ষনে ঘেরা বাংলাদেশ” কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও বগুড়ায় প্রতিটি নারী এবং তাদের পিতা-মাতা এসব কথাগুলোকে মাথায় রেখে চিন্তিত হয়ে পড়ছে দিন দিন। সম্প্রতি নিজ জেলা এবং দেশের বিভিন্ন কর্মকান্ডে নারীরা দিন দিন ব্যাপক আতংকে পাড় করছে তাদের দিন । প্রায় প্রতিটি ঘটনায় পুলিশের আটক থাকলেও আইনের ফাক দিয়ে বেড়িয়ে আসছে তারা
ধর্ষন ও নারীর প্রতি সহিংসতা কমাতে সারাদেশের ন্যায় বগুড়ায় শত শত শিক্ষার্থী এক যোগে মাঠে নেমেছে। সকালে তারা শহরের সাতমাথায় একযোগে সকলে রাস্তায় দাড়িয়ে ও বসে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে এতে অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অভিভাবক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ। এতে শিক্ষার্থীরা দেশের বর্তমান পরিস্থিতির ভয়াবহতা ও সরকারের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেছে। তারা নিজেরা স্বাধীন ভাবে বাচতে চায় বলে একযোগে স্লোগান চালায়
নিজেদের মেয়েদের নিয়ে আজ অভিভাবকরাও চিন্তিত তাই তো সরকারের কাছে এসব নর পশুদের বিচার চাইতে রাস্তায় নেমেছে অভিভাবকগন।
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে ধর্ষনের বিচার চেয়ে একমত প্রকাশ করেন তাদের সাথে যোগদান করেন বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
সকাল ১১ টা থেকে টানা একঘন্টা শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচী হওয়ার পরে সুষ্ঠভাবেই তা সম্পন্ন হয়।এতে দাবির মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ধর্ষনের বিরুদ্ধে কোন আইনজীবি না দাড়াতে পারবে না, তিন মাসের মধ্যে ধর্ষনের বিচার সম্পন্ন করতে হবে,ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে আইন পাস সহ আরো প্রায় ১৭ টা দাবি চেয়ে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
দাবীসমূহ হলোঃ
১। ধর্ষকের পক্ষে ছিল আইনজীবী দাঁড়াতে পারবেনা।
২। তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে
৩। ধর্ষক যেন রাজনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যমে পার না পেয়ে যায়
৪। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন পাস করা
৫। কেউ ভিকটিমের পরিচয় প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
৬। যেসব ধর্ষণের বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি তাদের বিচার দ্রুত করা হক
৭। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নিরাপত্তা আরো জোরদার হোক এবং প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা কমিটি গঠন করা হোক
৮।রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হোক
৯। পুলিশের ঘুষ প্রথা বন্ধ করতে হবে
১০।মেয়েদের নিরাপত্তা জড়িত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে
১১।ধর্ষণের বিচার এর স্বজনপ্রীতি বন্ধ হওয়া দরকার
১২। ধর্ষিতার বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা
১৩।নির্জন রাস্তায় সচল সিসিটিভি স্থাপন
১৪।জেলায় জেলায় ধর্ষণ প্রতিরোধে পুলিশের আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা
১৫। দলীয় মদদে গণধর্ষণ কে প্রশ্রয় দেওয়া হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা
১৬। ধর্ষকের উল্লাস ধর্ষিতার কান্না, আর না আর না
১৭। আমার বোন ধর্ষিতা কেন? জবাব চাই জবাব চাই