সোনাতলায় ১১টি সড়ক পানির নিচে

বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলায় চলতি বছরের চতুর্থ দফা বন্যায় যমুনা নদিতে পানি কমলেও বাঙালী নদিতে পানি স্থির অবস্থায় রয়েছে। ফলে ৪টি ইউনিয়নের ১১ সড়ক ও ৩টি ব্রীজ এখনও পানির নিচে। পথচারীদের দূর্ভোগ এখনও কমেনি। কিছু কিছু রাস্তা খানা খন্দকে পরিনত হওয়ায় যাত্রীবাহী পরিবহন সহ সকল ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে।
এ বছর সোনাতলায় চারদফা বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হয়েছে। এমনকি এখনও ১১ রাস্তা ও ৩টি ব্রীজ ও কালভাটের উপর থেকে পানি নেমে যায়নি।
রাস্তাগুলো হচ্ছে, চকনন্দন-চরমধুপুর রাস্তা, চকনন্দন-আড়িয়ারঘাট, শালিখা পশ্চিমপাড়া থেকে শালিখা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুপুর-চর চকনন্দন, হরিখালী-গজারিয়া রাস্তা, পশ্চিম তেকানী পাকা রাস্তা থেকে মোল্লাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তা, উত্তর করমজা-পশ্চিম তেকানী হিন্দুপাড়া, দড়িহাঁসরাজ-সাতবিলা রাস্তা, কাচারীবাজার-বংশবাড়ী, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে মহেশপাড়া, তেকানীচুকাইনগর-মহেশপাড়া রাস্তা এখনও পানির নিচে রয়েছে। ফলে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ১৮টি গ্রামের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভোগান্তির স্বীকার হতে হচ্ছে। অপরদিকে পরপর চারদফা বন্যায় বেশ কিছু রাস্তা খানা খন্দকে পরিনত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে পথচারীদের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাগুলো সংষ্কার ও কাঁচা রাস্তা উঁচুকরণে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাশেদ ইমরান জানান, বন্যা পরবর্তী খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা চেয়ারম্যান এড. মিনহাদুজ্জামান লীটন জানান, এলাবাসীদের দূর্ভোগের কথা চিন্তা করেই খুব দ্রুত সময়ের রাস্তাগুলো সংস্কার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।