গুগলে বাংলাদেশের সুপারস্টার খুঁজলে ফলাফল বগুড়ার হিরো আলম!
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2020/10/20201018_174153-scaled.jpg)
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এই সময়ের সুপারস্টার অধিকাংশ সিনেপ্রেমীরাই নাম বলবেন শাকিব খানের। কেউবা বলতে পারেন আরিফিন শুভর নাম। কিন্তু বাংলাদেশি ফিল্ম সুপারস্টার লিখে গুগলে খুঁজলে শুরুর বেশ কয়েকটি লিংক আসে ফেসবুক ও ইউটিউবে আলোচিত নাম আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের।
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2020/10/D-ezYulXkAAdMXZ-scaled.jpg)
![](https://boguralive.com/wp-content/uploads/2020/10/D-ezYulXkAAdMXZ-1-scaled.jpg)
কথিত এই তারকাকে নিয়ে তৈরি করা দুটি কনটেন্ট প্রথমে দেখা যাচ্ছে গুগলে। আরও অবাক করার বিষয় হলো এই দুটির একটিও হিরো আলমের পেজ কিংবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে পোস্ট করা হয়নি। দুটি চ্যানেলের একটি নিউজপয়েন্টটিভি চ্যানেল অ্যাবাউটে ‘ভারত সরকারের ডিজিটাল কনটেন্ট এজেন্সি’ লেখা আছে। এই চ্যানেল থেকে হিরো আলমকে নিয়ে তৈরি করা ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর। রবিবার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে এই ভিডিও। গুগলে আসা দ্বিতীয় লিংকটি খুশ বায়ারওয়া নামের এক ভারতীয় যুবকের ব্যক্তিগত চ্যানেল। এই ভিডিওটির লোকেশনও দেখাচ্ছে ভারতে।
এদিকে একটি দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের তেমন প্রতিনিধিত্বকারী কেউ না হলেও গুগল সার্চে হিরো আলমের নাম আসায় দেশের এই অঙ্গনের অনেকেই অসন্তুষ্ট। ভারতীয় কেউ কেউ ইচ্ছেপ্রসূতভাবেই বাংলাদেশকে খাটো করতে এমন বাজে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।
সম্প্রতি চলচ্চিত্রের নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন হিরো আলম। এর আগে নিজ খরচে বেশকিছু ফানি ও মিউজিক ভিডিও বানিয়ে তিনি দেশব্যাপী রাতারাতি পরিচিতি পেয়েছেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ‘মার ছক্কা’ শিরোনামের একটি ছবিতে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে হিরো আলম ঢুকে পড়েন চলচ্চিত্রেও। সেখানে তাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যায়।
বড় পর্দায় আসার পর তাকে নিয়ে নানা সময়ে প্রচুর বিতর্ক ও সমালোচনা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে তার কথা বলার ধরণ, ভাষা, চেহারা, উচ্চতা এবং অভিনয় দক্ষতা নিয়ে। কিন্তু কোনো কিছুকেই পরোয়া করেননি বগুড়ার এই ছেলে। তার অভিনীত দ্বিতীয় ছবি ‘সাহসী হিরো আলম’-এর প্রযোজকও তিনি।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও নেমেছিলেন নাম হিরো আলম। গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গোটা দেশকে অবাক করে দিয়ে তিনি বগুড়া-৪ আসন থেকে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি। যদিও প্রথমে তিনি জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। সেটা না পেয়ে পরে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
বগুড়া সদরের একসময়কার সিডি বিক্রেতা আলম এখন ঢাকায় বসত গড়েছেন। সেই শুরু থেকে নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘হিরো’। তার অঙ্গভঙ্গি অনেকটা কৌতুক অভিনেতার মতো হলেও তিনি নিজেকে ‘হিরো’ বলেই পরিচয় দেন।