করোনার কারনে বগুড়ার পূজামণ্ডপে মাস্ক ছাড়া ঢোকা যাবেনা
বগুড়াতে এ বছর ৬৪০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে। তবে করোনার কারণে তেমন কোনও আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। মাস্ক ছাড়া কোনও ভক্তকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানায়, আগামী ২২ অক্টোবর দুর্গোৎসব শুরু হচ্ছে। ওই দিন মন্দিরে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠিপূজা হবে। ২৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জন। করোনার কারণে এবার বিজয় র্যালি হবে না। গত বছর ৬৬৭ মণ্ডপে পূজা হলেও এবার জেলার ১২ উপজেলার ৬৪০টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। শেষ মূহুর্তে কারিগররা প্রতিমায় তুলির আঁচড় দিচ্ছেন। কোনও কোনও মণ্ডপে বাহির থেকে তৈরি করে আনা আবার কোনও কোনও মন্দিরেই প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা জানান, এ বছর পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে প্রস্তুতি, উদযাপন ও বিসর্জন তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সর্বক্ষণ পুলিশ ফোর্স টহল দেবে, জেলা-উপজেলা পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা সহায়তা করবে এবং পূজা মণ্ডপে প্রবেশে ‘নো মাস্ক, নো এট্রি’ থাকবে। কোনও রকম শোভাযাত্রা করা যাবে না।
পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি দিলীপ কুমার দেব জানান, এবার কোনও আরতি, বিজয় মিছিল ছাড়াই তাদের দূর্গোৎসব হবে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। মন্দিরের বাহিরে কোন আলোকসজ্জা থাকবে না। আশপাশে কোনও মেলা বসবে না। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, জেলার ১২ উপজেলার ৬৪০টি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।