তারুণ্যের কন্ঠস্বর

ধ্রবত্যয় (the absolute end)

এই সভ্য সমাজে আজ একটি মরণ ব্যধি ঢুকে পড়েছে। যে সমাজের মুল অব্দি নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়ে যাচ্ছে। এই ব্যাধি আজ মানুষকে ভেতর থেকে কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। কিন্তু মানুষগুলো এ বিষয় নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত বা ভীত নয়। কেনই বা হবে? তারা সবাইতো আজ রঙিন চশমা পরিহিত।

তাই নিজেদের অদূর ভবিষ্যৎটাই তাদের চোখে পড়ছে না। সমাজের মানুষকে আসক্তির বাইস্কোপ দেখানো এই ব্যধির নাম সংহারক অভিরতি অরফে মাদকাসক্তি। যাকে অনেকে সর্গতুল্য মনে করে। কিন্তু একে সর্গতুল্য ভাবার যথাযথ কোনো কারণ আমি আজ পর্যন্ত খুজে পাইনি।

যদিও এই সর্গতুল্য বস্তুটি নিয়ে আমার তেমন মাথাব্যাথা নেই।কিন্তু এই অনুরতি যে লহুর প্রবাহের মতো সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে যাচ্ছে এই বিষয়টা আমাকে খুব ভাবায়। এই সর্গের দূত যে ধীরে ধীরে আমার চারপাশের পরিবেশকে নরকে পরিণত করছে এই জিনিসটা আমাকে খুব পীড়া দেয়।

আমি জানালার দারপ্রান্তে দাড়িয়ে শুধু ভাবি যে মানুষ বাস্তবতার সাদা চশমা খুলে ঘোলাটে রঙিন চশমা পড়তে এত কেন আগ্রহী?? নিজের নিশ্চিত অবনতি জেনেও কেন সেই চোরাবালির দিকেই পা বাড়ায়??

এই বিষধরের সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে সদ্য কৈশোরে পদার্পন, টগবগে রক্তের ছেলে-মেয়ে গুলো। যাদের জীবন-যাপন সম্পর্কে নিজের মা-বাবার ই সঠিক কোনো ধারণা নেই। আর না আছে কোনে চিন্তা-ভাবনা। এই বিষয়টাই না আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করে। এই বাবা-মারা যখন নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত, তখন তাদের সন্তান বন্ধুদের সাথে খোলা আকাশ দেখতে মগ্ন।

এই সংহারক অভিরতি নামক আসক্তি মানুষের মস্তিস্কে যেন কবজা করে নিয়েছে। আজ অনকেই নানা কারণ দেখিয়ে, নানা অজুহাতে এই মরিচিকাকে পেতে চায়। কেউ এর দারা নিজেকে স্মার্ট প্রমান করতে চায়, তো কেউ নিজের মন-ভাঙার, হৃদয় চুরমারের গল্প শোনায়। কেউ বলে বাবা মায়ের মাঝে প্রচুর অশান্তি আাবার কেউ এই ফনাকেই নিজের একাকিত্বের সঙী করে নেয়। মানে মূল কথা আমার জীবনে যাই ঘটুক না কেন, আমাকে এই অন্ধকার জগতে ঢুকতেই হবে।

আমি না আজও এই রহস্যের সমাধান করতে পারিনি। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছি যে কীভাবে এই বিষধর মানুষের জীবনকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। কীভাবে একটি হাস্যজ্জল পরিবার স্তব্ধ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। একটি সমাজে অপরাধচক্র কুসংস্কারের মতো প্রতিটি কণায় কণায় ছড়িয়ে পড়েছে। শৈরাচারীর মতো তার আধিপত্য বিস্তার করেছে। এই জানালার দারপ্রান্তে দাড়িয়ে আমি একটি সুশীল সমাজকে তীলে তীলে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি। আমার কিছুই করার নেই।

কিন্তু এই দুটি নয়ন আজও সপ্ন দেখে।

চাতক পাখির ন্যায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকে যে একদিন পুব আকাশে সচ্ছতার সূর্যের উদয় হবে।যার আলোয় কেটে যাবে এই ঘোলাটে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এবং শুদ্ধ বিচার-বুদ্ধি ও বিবেকের সহিত একটি নতুন প্রজন্মের অভ্যুত্থান ঘটবে।

এই বিভাগের অন্য খবর

Back to top button