নিউক্লিয়ার মেডিসিন: রোগীদের বৈদেশিক নির্ভরতা ও খরচ কমাবে
নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেবার পরিধি আরও বাড়ছে। বর্তমানে ১৫টি ইনস্টিটিউট থাকলেও, নতুন আরও ৮ টি চালু হচ্ছে। এতে সহজ হবে রোগ নির্ণয় ও নিরাময়। গবেষকরা বলছেন, এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগীদের বৈদেশিক নির্ভরতা ও খরচ কমাবে।
চিকিৎসা শাস্ত্রে আধুনিক পদ্ধতির নাম নিউক্লিয়ার মেডিসিন। বিজ্ঞানীদের ভাষায় যাকে বলা হয় মলিকুলার ইমাজিন। কারণ পরমাণু শক্তিকে কাজে লাগিয়ে শরীরের যেকোন সূক্ষ্ম পরিবর্তন যেমন নির্ণয় করা সম্ভব। তেমন নিরাময়ও করা যায়।
বহির্বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এখন বাংলাদেশে দিন দিন প্রসার ঘটছে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রযুক্তিগত উন্নয়ন রোগীদের বিদেশ নির্ভরতা কমাবে।
হাড়, রক্ত, হরমোন, চোখ, কিডনীসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা যেকোন সূক্ষ্ম ও জটিল রোগকে সহজেই নির্ণয় করা যেতে পারে মলিকুলার ইমাজিনের মাধ্যমে। এখন দেশের ১৫টি কেন্দ্রে চালু আছে ৮০ ধরণের পরীক্ষা কার্যক্রম।
থাইরয়েড গ্রন্থির যোকোন রোগ, চোখের ক্যান্সার, নখের ছত্রাক, অস্টিওপরোসিস, প্যানক্রিয়াটিসসহ নানান জটিল রোগের চিকিৎসাও করা হয় ইন্সটিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসে।
গড়ে প্রতি বছর অর্ধলক্ষাধিক মানুষ দেশেই এসব সেবা নিয়ে থাকেন।