মাস্ক ছাড়া সেবা নেইঃ মসজিদে মাস্ক না পরলে করতে হবে ‘পে
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েছে করোনার প্রকোপ। বাংলাদেশেও শীত মৌসুমে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ জন্য সর্তক করে দিয়েছে সরকার। ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হলেও মানুষের মাঝে এ বিষয়ে দেখা দিয়েছে বেশ উদাসীনতা। তাই কঠোর হতে যাচ্ছে সরকার।
সোমবার (২ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সীমিত পরিসরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এমন তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভার এই নিয়মিত বৈঠক অংশগ্রহণ করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, আজও কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের অবস্থা খুবই খারাপ। বেশিরভাগ দেশ লকডাউনে গেছে। গতকালও ফ্রান্স লকডাউন দিয়েছে।
ইতোমধ্যে মাস্ক ছাড়া কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবা না দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মসজিদেও মাস্ক ব্যবহারের উপর কড়াকড়ি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। কোনোভাবেই মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ কোথাও না আসে। এটা অলরেডি সব জায়গায় বলে দিয়েছি। সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন বা লিগ্যাল যেভাবেই হোক এটাকে নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, গতকাল মসজিদে বলে দিয়েছি, মাস্ক ছাড়া মসজিদে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বায়তুল মোকাররমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমি সারপ্রাইজড হয়েছি। কেউ তিন ফুটের গ্যাপ ছাড়া দাঁড়াচ্ছে না। তারা নিয়ম মেনে চলছে না। কর্মকর্তা কর্মচারী কেউ যদি মাস্ক ছাড়া মসজিদে যান তাহলে তাকে সেজন্য ‘পে’ করতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সবাইকে কেয়ারফুল থাকতে হবে। আমাদের যে অবস্থা সবাই মাস্ক ব্যবহার করলে ভালো অবস্থানে থাকা যাবে।
ইত্তেফাক