বগুড়ায় শ্যামল ভট্রাচার্যের মহাপ্রয়ানে নাগরিক কমিটির শোক পদযাত্রা

অদ্য ১১ নভেম্বর ২০২০, বুধবার, বিকাল ৩টায় অসাম্প্রদায়িক মননের প্রতীক, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, সংস্কৃতি-অঙ্গনের প্রতিভূ ও প্রগতিশীল চেতনার বাতিঘর শ্যামল ভট্টাচার্য্যের মহাপ্রয়াণে বগুড়া জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে ‘নাগরিক শোকসভা’ অনুষ্ঠিত হয় ।
বিকাল ৩ টায় শোক পদযাত্রা ও শ্যামল ভট্টাচার্য্যের প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
আলোচনা ও স্মৃতিকথন অনুষ্ঠানের শুরুতে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর শ্যামল ভট্টাচার্য্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে “আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে…” রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন শীলা পারভীন।
শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন তৌফিক হাসান ময়না।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে শ্যামল ভট্টাচার্য্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিকথনে উল্লেখযোগ্য স্মৃতি তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন- শ্রদ্ধেয় শ্যামল ভট্টাচার্য্যের মহাপ্রয়াণে বগুড়া তথা বাংলাদেশের শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে। তার অভাব অপূরণীয়। মরণোত্তর দেহ দানে প্রয়াত শ্যামল ভট্টাচার্য্য আবারও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন, তিনি আজীবন মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন, মৃত্যুর পরও তিনি নিজেকে উৎসর্গ করলেন।
অনুষ্ঠানে শ্যামল ভট্টাচার্য্যের স্মরণে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক সম্মাননা, স্মারক গ্রন্থ ও স্মৃতি সড়ক স্থাপনের উদ্যোগের ঘোষণা দেয়া হয়।
বক্তব্য রাখেন- জিলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, অধ্যাপক মৃণাল কান্তি সাহা, ডা. মওদুদ হোসেন আলমীর পাভেল, ডা. আরশাদ সায়ীদ, করতোয়া সম্পাদক মোজাম্মেল হক লালু, রেজাউল বারী ঈসা, অ্যাড. সাইফুল ইসলাম পল্টু, অভ্র ভট্টাচার্য্য অভি, সুকৃতি ভট্টাচার্য্য, ডা. সামীর হোসেন মিশু, বগুড়া জিলা স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, অ্যাড. সৈয়দ সুলতান আলম, আনোয়ারুল হক, সাহাদৎ আলম ঝুনু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দীকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবিএম জিয়াউল হক বাবলা, বাঙ্ময় আবৃত্তি চক্রের সাধারণ সম্পাদক দৌলতুজ্জামান, নাট্য দলের সভাপতি মির্জা আহসানুল হক দুলাল, বগুড়া ইয়্যুথ কয়্যার এর সভাপতি আতিকুর রহমান মিঠু, মতিয়ার রহমান, আজিজার রহমান তাজ, অধ্যাপক একে আজাদ, গৌতম দাস, খলিলুর রহমান চৌধুরী, শীতল সাহা সহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এটিএম রাশেদুল ইসলাম এবং অলক পাল, মাসুক। আবৃত্তি পরিবেশন করে ফজলে রাব্বি।