বগুড়ায় বেড়েই চলছে আত্নহত্যা
বগুড়ায় করোনাকালে গেল ৩ মাসে ১০৭টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সড়ক দুর্ঘটনার চেয়ে বিভিন্ন কারণে গ্যাস টেবলেট সেবন,পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিষপান এবং গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার প্রবনতা বেড়েছে ব্যাপকহারে। তবে বিশেষজ্ঞ মনে করছেন শিক্ষার্থীদের একাকীত্বটা আত্নহত্যার অন্যতম কারণ যা অভিভাবক দ্বারাই কমিয়ে আনা সম্ভব।
গত আগষ্ট,সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর এই ৩ মাসে ১২ উপজেলায় মোট ১০৭ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পারিবারিক কলহ, প্রেম ঘটিত ছাড়াও খুব ছোট ছোট ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ঘটছে এসব দুর্ঘটনা।
আত্নহত্যার প্রবণতা বর্তমান সময়ে ব্যাপক হারে বৃদ্ধির কারণে সন্তানদের বিশেষ করে টিন এজের সন্তানদের নিয়ে অনেকটা চিন্তিত অভিভাবকেরা।
এ বিষয়ে মাহমুদা জেসমিন নামক একজন অভিভাবক বলেন,বর্তমান সময়ে আত্নহত্যার প্রবণতা যেভাবে বেড়েছে তা আসলে আমাদের খুবই দুঃচিন্তার কারণে পরিণত হয়েছে। বাচ্চারা কেন যে এমন হঠাৎই ছোট ছোট কারণে এমন পথ বেছে নিচ্ছে তা আমাকে প্রতিনিয়ত ভাবায়।
এদিকে করোনাকালে আত্নহত্যার প্রবণতা বাড়ার পিছনে একাকীত্বকে অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃপরিতোষ কুমার ঘোষ বলেন, ছেলে মেয়েরা ঘরে থাকতে থাকতে হয়ত ডিপ্রেশনের কারণেই এই ঘটনা গুলো বেশি ঘটছে তবে প্রতিটি পরিবারের অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ জানাবো তাদের পিছনে একটু সময় দিতে।
অন্যদিকে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আসলে তেমন কিছু করতে না পারার কারণে এসব আত্নহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে তাদের সমস্যাগুলো কাউকে বলতে না পারলেও পুলিশের কাছে এসে তা শেয়ার করার জন্য আহবান জানান জেলা পুলিশ বগুড়ার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী।
আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই একটি সামাজিক ব্যাধীতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান নভেম্বর মাসেও সে সংখ্যাটি এখনো বেড়েই চলছে। তবে খুব শীঘ্রই বগুড়া জেলায় এর প্রবণতা কমে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।