ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েও সেমির দেখা পেল না পর্তুগাল
করোনা জয়ের পর জাতীয় দলের জার্সিতে রোনালদোর দ্বিতীয় ম্যাচ। ফ্রান্সের কাছে ১-০ গোলে হারায় আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ক্রোয়েশিয়াও ছিটকে গেছে শিরোপার দৌড়ে। স্তাদিও পলজুদে তাই কিছু হারাবার ছিল না দু’দলের।
প্রতিপক্ষের মাঠে সুযোগ তৈরি করায় এগিয়ে ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পর্তুগাল। কিন্তু ম্যাচের ২৯ মিনিটে লিড পায় ক্রোয়েশিয়া। পর্তুগীজ গোলরক্ষক প্যাট্রিসিওর ফিরিয়ে দেয়া বল থেকে স্কোর করেন কোভাসিচ। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা।
বিরতির পর ৪-৪-২ ফরমেশনে দল সাজান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। পরে অবশ্য তার ফলও বশ্য পায় দল। ৫১ মিনিটে মার্কো রগ লাল কার্ড খেয়ে মাঠ ছাড়ায় দশ জনের দলে পরিণত হয় ক্রোয়েশিয়া।
৫২ মিনিটে রুবেন সেমেদোর পাস থেকে খেলায় সমতা আনেন দিয়াজ। ৮ মিনিট বাদেই পর্তুগালকে প্রথমবারের মত এগিয়ে নেন হোয়াও ফেলিক্স। ২-১ গোলের লিড নিয়েও অবশ্য স্বস্তিতে ছিল না রোনালদোরা।
এমন একটা ম্যাচে অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছিল না পর্তুগীজ সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। করোনার দূর্বলতা মাঠেও লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। তার আক্রমণ গুলো ক্রোয়াট রক্ষণ দুর্গে এসেই থেমে যাচ্ছিল।
৬৫ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন কোভাসিচ। সমতায় আবারো ম্যাচ জমিয়ে তোলে।
২-২ গোলের সমতায় যখন দর্শকরা ড্র ধরে নিয়েছিল। তখনই ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে পর্তুগালের হয়ে ম্যাচে আবারো গোল করেন দিয়াজ। তাতে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পর্তুগাল। জয় পেয়েও আসর থেকে বিদায় নিতে হল বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। তবে দুই নম্বরে থেকে ‘এ’ লিগে খেলতে পারবে রোনালদোর দল।