৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস: আবহাওয়া অধিদপ্তর

পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে শৈত্য প্রবাহের পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সাথে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। সব মিলিয়ে সারা দেশেই তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আর দুদিন পরেই আসছে পৌষ মাস, অর্থাৎ শীতকালের শুরু। কিন্তু শীতকাল আসার আগেই জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে দিনের বেশিরভাগ সময়। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত অনেক জেলার জনজীবন।
আবহাওয়ার অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে বেশি কুয়াশা পড়ছে। যা কয়েকদিনের মধ্যে কমে যাবে। তবে শীতের তীব্রতা বেড়ে শৈত্য প্রবাহের আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরো জানায়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। তাপমাত্রা আরো কমবে, তবে সেটি মঙ্গল বা বুধবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হালকা বৃষ্টির পর।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগি সেলসিয়াস, আগেরদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।
এর আগে, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।